রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনের জন্য আবারও বিপুল পরিমাণ সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই সহায়তা প্যাকেজের পরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন ডলার।
১২ মার্চ, মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রতিবেদন মতে, গত কয়েক মাস ধরে তহবিল সংকটের কথা বলা হলেও এই অর্থায়ন সম্ভব হয়েছে অস্ত্র চুক্তির সঞ্চয় থেকে।
সাংবাদিকদের জ্যাক সুলিভান বলেন, যখন রাশিয়ার সৈন্যরা অগ্রসর হয় এবং গুলি চালায় তখন জবাব দেয়ার মতো যথেষ্ট গোলাবারুদ নেই ইউক্রেনের, যার মূল্য চুকাতে হচ্ছে ভূখণ্ডকে। এটি জীবন হানিকর এবং এটি কৌশলগতভাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর জন্য ক্ষতি।
সবশেষ এই প্যাকেজের মধ্যে আর্টিলারি গোলাবারুদ, বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, অ্যান্টি আর্মার সিস্টেম এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে।
গেল ডিসেম্বরে ইউক্রেনে সবশেষ সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই সময় পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি বছর সবশেষ ধাপে দেয়া এ সহায়তা প্যাকেজের মূল্য ২৫ কোটি ডলার। এ সহায়তার মধ্যে আছে-আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও গোলাবারুদ, রকেটের জন্য ব্যবহৃত অতিরিক্ত গোলাবারুদ, ১৫৫এমএম ও ১০৫এমএম গোলাবারুদ, সাঁজোয়া যান বিধ্বংসী গোলাবারুদ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউক্রেনের জন্য সহায়তা অব্যাহত রাখতে হলে অর্থাৎ নতুন সহায়তা দিতে হলে কংগ্রেসকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিকে ইউক্রেনে আরও ৬০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা পাঠানোর একটি বিল অনুমোদনে ভোটাভুটি আয়োজনের বিষয়ে এখনো সম্মতি দেননি কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান পার্টির স্পিকার মাইক জনসন। যদিও বিলটি এরই মধ্যে ডেমোক্র্যাট পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা উচ্চকক্ষ সিনেটে অনুমোদন পেয়েছে।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে এক পয়সাও দেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান। ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি একথা বলেন।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে এক পয়সাও দেবেন না ট্রাম্প। ফলে যুদ্ধের ইতি ঘটবে। ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট হলে ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে’ যুদ্ধ অবসানের অঙ্গীকার করেছেন। তবে এ বিষয়ে ওরবান বিস্তারিত কিছু বলেননি। ২০২৪ সালের হোয়াইট হাউসের দৌড়ে তিনি প্রকাশ্যেই দীর্ঘদিনের মিত্র ট্রাম্পকে সমর্থন দিচ্ছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: