চলতি সপ্তাহেই গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবার সম্ভাবনা আছে, এমন কথাই জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এবার তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরে তিনি জানিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু না হলেও রোজার আগেই অর্থাৎ আগামী ১০ মার্চের মধ্যেই এটি হয়ে যেতে পারে।
গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি জানান, তিনি আশাবাদী যে, রোজা শুরুর আগেই হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর সম্ভব হবে। তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে চুক্তির বিষয়টি সমাধা না-ও হতে পারে।
সাংবাদিকেরা বাইডেনের কাছে জানতে চান, গত সপ্তাহে তিনি জানিয়েছিলেন যে, আগামী সোমবারের মধ্যেই গাজায় একটি যুদ্ধ বিরতি হতে পারে। তো সোমবার ঘনিয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা কতটা? এ সময় জবাবে বাইডেন জানান, বিষয়টি আপাতত ‘অসম্ভব’।
বাইডেন বলেন, ‘এটা দেখে মনে হচ্ছে যে, আমরা (চুক্তির) কাছাকাছি পৌঁছেছি, তবে আমরা এখনো পৌঁছাইনি আসলে। আমি মনে করি, আমরা সেখানে পৌঁছাব, তবে আমরা এখনো সেখানে পৌঁছাতে পারিনি এবং এখনই এটির সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
যুদ্ধবিরতি চুক্তি আদৌ হবে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে বাইডেন জানান, তিনি এখনো যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত বিষয়টি শেষ না হয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আশা হারাতে চাই না।’
একই দিনে বাইডেন বলেছেন, গাজায় বিমান থেকে ত্রাণসহায়তা ফেলবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। জর্ডান, ফ্রান্সসহ আরও কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে গাজায় বেশ কয়েক দফা বিমান থেকে ত্রাণসহায়তা ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এই সাড়া একটু দেরিতেই এল।
বাইডেন বলেছেন, ‘আমাদের আরও বেশি কিছু করতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্র আরও কিছু করবে।’ তিনি জানান, সাগরপথে গাজায় ত্রাণসহায়তা পৌঁছে দিতে একটি মেরিটাইম করিডর স্থাপনের বিষয়ে ভাবছে তাঁর দেশ।
একই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, ‘গাজায় প্রবাহিত সহায়তা মোটেও যথেষ্ট নয়।’ এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা একটি টেকসই প্রচেষ্টা হয়ে উঠবে।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সামরিক বাহিনীর জন্য প্রস্তুতকৃত খাবার ফেলতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: