ঋণদাতার কাছে নিজের সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখিয়ে জালিয়াতি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এর জন্য তাকে ৩৫ কোটি ৪৯ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এক দেওয়ানি মামলার শুনানি শেষে গতকাল শুক্রবার নিউইয়র্কের এক বিচারপতি এ আদেশ দিয়েছেন।
বিচারপতি আর্থার এনগোরন তিন বছরের জন্য ট্রাম্পকে নিউইয়র্ক করপোরেশনের কর্মকর্তা কিংবা পরিচালক পদেও নিষিদ্ধ করেছেন।
নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলাটি দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, মোটা অঙ্কের ঋণ পেতে ট্রাম্প ব্যাংকারদের কাছে তাঁর নিজের ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদের মূল্য ফুলিয়ে–ফাঁপিয়ে দেখিয়েছেন। নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের একটি আদালতে তিন মাস ধরে বিচারকাজ চলার পর গতকাল বিচারপতি এনগোরন কোনো জুরি ছাড়াই রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাম্প তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, নির্বাচিত ডেমোক্র্যাট নেতা জেমস রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে মামলাটি করেছেন।
গতকাল এনগোরন এ মামলায় গত সেপ্টেম্বরে তাঁর দেওয়া রুলটি বাতিল করেছেন। ওই রুলে বলা হয়েছিল, যে কোম্পানিগুলো ট্রাম্পের আবাসন ব্যবসাসংক্রান্ত সাম্রাজ্যের স্তম্ভগুলো নিয়ন্ত্রণ করে, সেগুলো যেন ‘বিলুপ্ত’ করে দেওয়া হয়। তবে গতকাল এনগোরন বলেছেন, এর আর প্রয়োজন পড়বে না। কারণ, তিনি ট্রাম্পের ব্যবসার ওপর নজর রাখার জন্য একজন স্বাধীন পর্যবেক্ষককে নিয়োগ দিচ্ছেন।
এনগোরন তাঁর রুলে লিখেছেন, এ মামলায় ট্রাম্প ও অন্য বিবাদীরা নিজেদের ভুল স্বীকার করতে অক্ষম হয়েছেন। এর বদলে তাঁরা সত্য লুকাতে এমন অঙ্গভঙ্গি করেছেন যেন—মন্দ কিছু দেখবেন না, মন্দ কিছু শুনবেন না ও মন্দ কথা বলবেন না।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বিচারপতি এনগোরনকে ‘অসাধু’ বলে উল্লেখ করেছেন। আর জেমস লেটিশিয়াকে তিনি বলেছেন ‘দুর্নীতিবাজ’।
এনগোরনের সিদ্ধান্তকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ উল্লেখ করে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা কোনো অবিচারকে প্রতিষ্ঠিত হতে দিতে পারি না।’
ট্রাম্পের আইনজীবী অ্যালিনা হাবা বলেছেন, তাঁরা রুলের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: