সান ফ্রান্সিসকোতে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েমোর একটি চালকবিহীন গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে জনতা। ১০ ফেব্রুয়ারি, শনিবার রাতে গাড়িটিতে একদল মানুষ এই আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রে চালকবিহীন গাড়িতে আগুন দেওয়াকে পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মাইকেল ভ্যান্ডি নামের এক ব্যক্তি ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ঘটনার সময় লোকজন আতশবাজি পুড়িয়ে চীনা নববর্ষ উদযাপন করছিল। তখন এক ব্যক্তি গাড়ির হুডে উঠে কাচ ভেঙে ফেলেন। ভিডিওতে গাড়িটি আগুনে পুড়তে ও সেখান থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
ওয়েমো বলছে, গাড়ির ভেতরে কেউ একজন আতশবাজি ছুড়ে মারায় আগুন ধরে যায়।
সান ফ্রান্সিসকোর দমকল বিভাগ বলছে, আতশবাজির কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। গাড়িতে কোনও আরোহী ছিল না এবং কেউ আহত হয়নি।
পুলিশ বলছে, আগুনের কারণ জানতে তদন্ত চলছে। কাউকে আটক করা হয়েছে কি না তা জানায়নি পুলিশ। জাগুয়ার আই-পেস মডেলের ইলেক্ট্রিক ওই গাড়িতে ২৯টি ক্যামেরা ও সেন্সর আছে।
গত বছর জেনারেল মোটরস কোম্পানির চালকবিহীন গাড়ি ‘ক্রুজ’ একজন পথচারীকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে চালকবিহীন গাড়ির প্রতি মানুষের বৈরী আচরণ বাড়ছে।
অতীতে সান ফ্রান্সিসকো ও অ্যারিজোনার ফিনিক্সে চালকবিহীন গাড়ির রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া, গাড়ির ভেতরে ঢোকার চেষ্টা ও হুডে উঠে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। সেন্সর যেন কাজ না করে সেজন্য কমলা রংয়ের ট্রাফিক কোণ দিয়ে গাড়ির সেন্সর ঢেকে দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
গত সপ্তাহে সান ফ্রান্সিসকোতে একটি ওয়েমো গাড়ি একজন সাইক্লিস্টের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিল। এতে সামান্য আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফিনিক্সে চালকবিহীন গাড়ি দিয়ে যাত্রী পরিবহণ সেবা চালু করেছে ওয়েমো। লস অ্যাঞ্জেলেস ও অস্টিনে এই সেবা চালুর চেষ্টা করছে তারা।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: