বাইডেনের বন্দুকের বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:৪৭

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আসন্ন নির্বাচনের জন্য রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন বন্দুকের অধিকার দৃঢ়ভাবে রক্ষা করেছিলেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার পর জো বাইডেন অস্ত্রের ব্যাপারে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন, আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে সেগুলো প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ) দ্বারা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। ‘পিস্তল ব্রেস’ হিসেবে পরিচিত অস্ত্রের আনুষঙ্গিক বিক্রি বন্ধ করতে প্রণীত একটি নিয়মসহ বাইডেন প্রশাসনের নেওয়া অন্যান্য নিয়মও প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

পেনসিলভানিয়ার রাজধানী হ্যারিসবার্গে গ্রেট আমেরিকান আউটডোর শোতে দেওয়া বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমার অফিসে (প্রেসিডেন্ট হিসেবে) ফেরার প্রথম সপ্তাহ বা প্রথম দিনেই বন্দুকের মালিক এবং নির্মাতাদের প্রতি বাইডেনের করা আক্রমণগুলো বন্ধ করা হবে। অস্ত্রের ব্যাপারে আমার চার বছরের শাসনামলে অনেক চাপ ছিল। কিন্তু আমরা কিছুই বাদ দিইনি।’

২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুরো মেয়াদেই ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে গেছে এনআরএ। সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের তিনজন রক্ষণশীল বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া এবং প্রভাবশালী লবি দ্বারা অস্ত্রের অধিকারের পক্ষে একাধিক পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেছিল এনআরএ। এর মধ্যে ছিল—করোনা মহামারির সময় আগ্নেয়াস্ত্রের দোকানগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবসা হিসেবে মনোনীত করে সেগুলো খোলা থাকার অনুমতি দেওয়া।

নেভাদা ও ভার্জিন আইল্যান্ডে জয়, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার আরও কাছে ট্রাম্পনেভাদা ও ভার্জিন আইল্যান্ডে জয়, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার আরও কাছে ট্রাম্প
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকদের সমর্থনকে জরুরি ভিত্তিতেই পর্যালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তাদের প্রতি খোলামেলা সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন তিনি। শুক্রবার বলেছেন, তিনি পুনর্নির্বাচিত হলে কেউ আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকদের দিকে আঙুল তুলতে পারবে না।

এনআরএ এবং অন্যান্য অস্ত্র অধিকারবিষয়ক গ্রুপগুলোকে সমর্থন দেয় রিপাবলিকান পার্টি। সেই সঙ্গে, মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীতে প্রতিষ্ঠিত অস্ত্র বহন করার অধিকারের কথা বলেন তারা। সেদিক থেকেই, অস্ত্র বহনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনের বিরোধিতাও করে রিপাবলিকানরা।

গত জানুয়ারিতে আইওয়াতে একটি স্কুলে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণের ঘটনার পর ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছিলেন তা উল্লেখ করে হ্যারিসবার্গে একটি বিলবোর্ড লাগিয়েছিল ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি। ট্রাম্প তখন নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে এই শোক কাটিয়ে ওঠা এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। বিলবোর্ডে লেখা ছিল, ‘বন্দুক সহিংসতার শিকারদের প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প: এসব কাটিয়ে উঠুন’।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: