যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নের দৌড়ে আরও এগিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল ৮ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার নেভাদা ও ভার্জিন আইল্যান্ডের ককাসে জয় পেয়েছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে ট্রাম্পের জয়ের খবরটি দিয়েছে।
রিপাবলিকান পার্টির নেভাদা ককাসে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একমাত্র প্রধান প্রার্থীই ছিলেন ট্রাম্প। আগামী জুন মাসে পার্টির সম্মেলনে মনোনয়নপ্রাপ্তির জন্য নেভাদা অঙ্গরাজ্যের ২৬ জন প্রতিনিধির সমর্থন অর্জনের ক্ষেত্রে একপ্রকার প্রস্তুতই ছিল তার জন্য।
বৃহস্পতিবার ভার্জিন আইল্যান্ডের ককাসেও সহজ জয় পান ট্রাম্প। সেখান থেকেও নিজ ঝুলিতে তিনি ভরেছেন চারজন প্রতিনিধির সমর্থন। ২৪৬ ভোটের ৭৪ শতাংশ অর্থাৎ, ১৮২ ভোট পেয়েছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। রিপাবলিকানদের মনোনয়নের দৌড়ে ট্রাম্পের অবশিষ্ট শেষ প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালি পেয়েছেন ৬৪ ভোট।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ নেভাদা রিপাবলিকান পার্টি আয়োজন করেছিল নেভাদা ককাস। এর দুই দিন আগেই অঙ্গরাজ্যটির পরিচালিত রিপাবলিকান প্রাইমারিতে শোচনীয় পরাজয় ঘটেছিল নিকি হ্যালির। সেখানে একমাত্র সক্রিয় প্রার্থী হয়েও হেরে গেছেন হ্যালি।
ব্যালট পেপারে ‘এই প্রার্থীদের কেউই নয়’ (নান অব দিজ ক্যান্ডিডেটস) লেখা একটি ঘর ছিল। আর সেই ঘরের কাছেই বিব্রতকর পরাজয় জুটেছে হ্যালির। দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোট গণনায় দেখা গেছে, ‘এই প্রার্থীদের কেউই নয়’-এর ঘরে ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ। আর হ্যালি পেয়েছেন ৩১ শতাংশ ভোট।
এর আগে, আইওয়া ককাস আর নিউ হ্যাম্পশায়ারে প্রাইমারিতে জয় পেয়ে ট্রাম্প তার রিপাবলিকান প্রার্থিতার আসন শক্ত করে ফেলেছেন। জয়ের পর লাস ভেগাসে সমর্থকদের সামনে হাজির হন ট্রাম্প। উল্লসিত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি নেভাদার মহান মানুষদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপে মূলত প্রধান দুটি দলের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনীত করা হয়। প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দুটি পদ্ধতিতে। একটি হলো ককাস, অপরটি প্রাইমারি। ককাস হলো নির্বাচনের এমন এক পদ্ধতি, যেখানে রিপাবলিকান বা ডেমোক্রেটিক পার্টি বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে দলীয় সমর্থকদের মধ্যে একটি খোলা ভোটের আয়োজনের মাধ্যমে তাদের দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ করে।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত থাকার মামলায় ট্রাম্পকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করে রায় দেয় কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের করা শুনানি অনুষ্ঠিত হয় গতকাল বৃহস্পতিবার। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্প প্রার্থী হতে পারবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: