সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর এর ফল পরিবর্তনের চক্রান্তের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পাচ্ছেন না। ৬ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত এই এ রায় দিয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্পকে নজিরবিহীন ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা আরো এক ধাপ এগুলো।
এ সময় আদালত জানায়, ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার করা যাবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি দায়মুক্তি পাবেন না।
এ সময় ফেডারেল নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগে তার বিচার হওয়া উচিত নয়— ট্রাম্পের এমন যুক্তি স্পষ্টভাবে খারিজ করে দেন আদালত। আদালতের আদেশের সমালোচনা করে একে ‘জাতি–বিধ্বংসী’ বলে মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওয়াশিংটন ডিসির তিন সার্কিট জজের প্যানেলের ৫৭ পৃষ্ঠার সর্বসম্মত অভিমতে বলা হয়েছে, একজন সাবেক প্রেসিডেন্টকে দায়িত্বে থাকাকালে তার নেওয়া পদক্ষেপের জন্য বিচারের মুখোমুখি করার সুযোগ বিচারব্যবস্থায় রয়েছে।
অভিমতে বিচারকেরা আরও বলেন, “প্রেসিডেন্টের দফতর এর সাবেক দায়িত্ব পালনকারীকে পরবর্তী পুরোটা সময়ের জন্য আইনের ঊর্ধ্বে রাখবে, আমরা তা মেনে নিতে পারি না।”
আদেশে আরও বলা হয়, “২০২০ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতায় থাকার প্রচেষ্টা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। যদি প্রমাণিত হয়, এটা আমাদের সরকারের কাঠামোর ওপর এক নজিরবিহীন আক্রমণ। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজেকে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট গণনা ও প্রত্যয়নের এমন একটি প্রক্রিয়ায় যুক্ত করেছিলেন, যেখানে প্রেসিডেন্টের কোনও ভূমিকা নেই। বিষয়টি সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি এবং কংগ্রেসের ইচ্ছাকে ক্ষুণ্ন করে।”
আদালতের এই আদেশকে চলতি বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। অবশ্য ট্রাম্পের প্রচার মুখপাত্র স্টিভেন চেউং বলেছেন, এ আদেশের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
সুপ্রিম কোর্টে আপিলের জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় পাবেন ট্রাম্প। এরপর এ আদেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন কি না, সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবেন।
সূত্র: বিবিসি, সিএনএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: