মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেন আগামী সপ্তাহে তার সর্বসাম্প্রতিকতম সঙ্কট-নিরসন সফরের সময়ে ইসরাইলি হামলা-বিরতির বিনিময়ে গাজা-বন্দী জিম্মিদের মুক্তির প্রস্তাব দেবেন। এ কথা জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর শুক্রবার আরো জানায়, সঙ্কট নিরসনে রোববার থেকে মধ্যপ্রাচ্যে তার পঞ্চম সফরে ব্লিঙ্কেন, প্রস্তাবের মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিসরের পাশাপাশি ইসরাইল, পশ্চিমতীর ও সৌদি আরব সফর করবেন।
দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ব্লিঙ্কেন একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন, যা বাকি বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করবে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের টেকসই, বর্ধিত মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে একটি মানবিক বিরতি অন্তর্ভুক্ত করবে।
কাতার, মিসর, ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা রোববার প্যারিসে এক বৈঠকে ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় বন্দীদের মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা করেন। এর আগে গাজা উপত্যকা নিযন্ত্রণকারী ও দোহায় অফিস রক্ষণাবেক্ষণকারী হামাসের কাছে প্রস্তাব পেশ করার পর, কাতার প্রস্তাবের সাফল্যের আশা করে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সাথে ওয়াশিংটনে বৈঠকের পর সোমবার ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ভালো এবং শক্তিশালী’ ওই প্রস্তাবটির সাফল্যের ব্যাপারে ‘প্রকৃত আশা’ রয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে এএফপির সমীক্ষা অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় প্রায় ১ হাজার ১৬০ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। হামাস প্রায় ২৫০ জনকে বন্দী করেছে। ইসরাইল বলেছে, ১৩২ জন গাজায় রয়ে গেছে, যার মধ্যে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আর হামাস-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়ের মতে, হামলার পর, ইসরাইল ভয়াবহ বিমান ও স্থল হামলা চালালে গাজায় কমপক্ষে ২৭ হাজার ১৩১ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: