ফ্লোরিডার মিয়ামি বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরী। আইকন অব দ্য সিস নামের ওই প্রমোদতরীটি ৩৬৫ মিটার (১,১৯৭ ফুট) দীর্ঘ। রয়্যাল ক্যারিবিয়ান গ্রুপের মালিকানাধীন এই প্রমোদতরীতে ২০টি ডেক রয়েছে। এতে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬০০ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন।
ওই প্রমোদতরীর প্রায় আড়াই হাজার ক্রু সদস্যের জন্য আলাদা ভাবে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) চালিত এই প্রমোদতরী থেকে জলবায়ুর জন্য ক্ষতিকারক মিথেন গ্যাস বাতাসে অনেক বেশি নিঃসৃত হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা।
ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন ক্লিন ট্রান্সপোর্টেশনের (আইসিসিটি) এর মেরিন প্রোগ্রামের পরিচালক ব্রায়ান কোমার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এটা ভুল পথে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এলএনজিকে মেরিন ফুয়েল হিসাবে ব্যবহারের ফলে এ থেকে মেরিন গ্যাস তেলের চেয়ে আনুমানিক ১২০ শতাংশ বেশি গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ ঘটাতে পারে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে আইসিসিটি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, এলএনজি-জ্বালানিবাহী জাহাজ থেকে মিথেন নির্গমন বর্তমান বিধি-নিষেধের চেয়েও বেশি। মেরিন ফুয়েলের তুলনায় এলএনজি অনেক পরিশুদ্ধভাবে পোড়ানো হলেও এ থেকে বড় ধরনের ঝুঁকি থেকেই যায়।
শক্তিশালী গ্রিনহাউজ গ্যাস মিথেন বায়ুমন্ডলে ২০ বছর ধরে কার্বনডাই অক্সাইডের চেয়ে ৮০ গুন বেশি তাপ ধরে রাখতে পারে। বিশ্বের উষ্ণায়ন কমাতে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ কমানোকেই বর্তমান সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে দেখা হচ্ছে।
আইকন অফ দ্য সিস তৈরি করতে খরচ হয়েছে দুই বিলিয়ন ডলার। এতে সাতটি সুইমিং পুল, ছয়টি ওয়াটারস্লাইড এবং ৪০টিরও বেশি রেস্তোরাঁ এবং বার রয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের কয়েক ডজন কেবিন আছে আইকন অব দ্য সিস নামের ওই প্রমোদতরীতে। এর ৭০ শতাংশ রুমের সঙ্গেই রয়েছে বারান্দা। বিনোদনের জন্য সেখানে সঙ্গীতশিল্পীরাও থাকছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: