যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন নিয়ে সর্বশেষ দু্’জন প্রার্থীর লড়াই চলছে। তারা হলেন— সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। তাদের মধ্যে এবার প্রথম প্রাইমারি নির্বাচন হবে নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্যে।
সেই নির্বাচনের কয়েক দিন আগে ১৯ জানুয়ারি, শুক্রবার বক্তব্য রাখেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি নিকি হ্যালি আর ন্যান্সি পেলোসিকে গুলিয়ে ফেলেন। যখন ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা হয়েছিল, তখন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ছিলেন ডেমোক্রেট ন্যান্সি পেলোসি, নিকি হ্যালি নন।
কিন্তু ট্রাম্প দ্বিধান্বিত হয়ে তাদের নাম গুলিয়ে ফেলেন। শুক্রবারের ওই বক্তব্যে তিনি ন্যান্সি পেলোসির পরিবর্তে দায়ী করেন নিকি হ্যালিকে। ট্রাম্প ৬ জানুয়ারির সেই বিদ্রোহ, দাঙ্গার প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে বারবার এবারের নির্বাচনে তার দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম উল্লেখ করেন।
জনাকীর্ণ সমাবেশে তিনি বলেন, নিকি হ্যালি তখন নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। আমরা তাকে সেনাবাহিনী, ন্যাশনাল গার্ডসহ ১০ হাজার মানুষ প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু তারা এই সহায়তা নেননি। এ নিয়ে তারা কোনো কথা পর্যন্ত বলতে চাননি।
নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারিতে ট্রাম্পের শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালি। তাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ক্যাপিটল হিলের ঘটনার সময় তিনি ছিলেন নিরাপত্তার ইনচার্জ। অথচ ওই সময় নিকি হ্যালি কোনো সরকারি দায়িত্বেই ছিলেন না।
এরপর বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাম্পের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিকি হ্যালি। শনিবার ট্রাম্পের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন নিকি হ্যালি।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সাউথ ক্যারোলাইনার গভর্নর নিকি হ্যালি নিউ হ্যাম্পশায়ারের র্যালিতে বক্তব্যে বলেন, লোকজন বলছেন ট্রাম্প দ্বিধান্বিত হয়েছিলেন। তিনি তাই এলোমেলো কিছু কথা বলেছেন। কিন্তু আমি অপমানকর কিছু বলছি না। যখন আপনি একজন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলবেন, তখন আমরা এমন কারও বিষয়ে কথা বলতে পারি না— যার মানসিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন থাকে।
নিকি হ্যালি আরও বলেছেন, যেসব রাজনৈতিক প্রার্থীর বয়স ৭৫ বছরের ওপরে তাদের মানসিক সক্ষমতার পরীক্ষায় পাশ করা উচিত।
২০ জানুয়ারি, শনিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন। তিনি বলেন, শীর্ষ দায়িত্ব পালনের জন্য আমাদের একজন লোক প্রয়োজন। তিনি এমন একজন ব্যক্তি হবেন যিনি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা দেখবেন। তাদের বয়স যদি ৮০ হয় তা হলে আমরা দেখব তারা পুতিন, শি জিনপিং, কিম উন জং এবং উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তি করছেন। আমরা আসলে এটা হতে দিতে পারি না।
সূত্র: সিএনএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: