এবার ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়ে সরে দাঁড়ালেন ডিস্যান্টিস

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২২ জানুয়ারী ২০২৪ ১২:৫০

ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস : সংগৃহীত ছবি ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস : সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে মনোনয়ন লাভের দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস। নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পাশাপাশি রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের মধ্যে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আর মাত্র দুদিন পরেই যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যে প্রাইমারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার ঠিক আগ মুহূর্তে রন ডিস্যান্টিস রিপাবলিকান পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ালেন। এর ফলে হাতি প্রতীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের এখন একমাত্র জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি। রিপাবলিকান পার্টি থেকে রন ডিস্যান্টিসকেই ট্রাম্পের বিপরীতে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হচ্ছিল।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক ভিডিও বার্তায় ডিস্যান্টিস ট্রাম্পকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তাঁর (ট্রাম্প) প্রতি আমার সমর্থন রয়েছে। কারণ, আমরা রিপাবলিকান পার্টির বিগত দিনের পুরোনো ঐতিহ্যের প্রার্থীদের কাছে ফিরে যেতে পারি না।’ এ সময় তিনি নিক্কি হ্যালিকে করপোরেট মতাদর্শের প্রতিনিধি বলেও উল্লেখ করেন।

ডিস্যান্টিসের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ফলে এখন রিপাবলিকান পার্টির লড়াই কেবল ট্রাম্প এবং হ্যালির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ল। এরই মধ্যে আইওয়ায় প্রথম প্রাইমারি বা ককাসে বিরাট ব্যবধানে জিতেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন লাভের দৌড়ে একপ্রকার অপ্রতিরোধ্যভাবে এগিয়ে গেলেও ট্রাম্পের জন্য বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে তাঁর বিরুদ্ধে চলমান চারটি ফৌজদারি অপরাধের মামলা। যদিও ট্রাম্প এসব মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

এর আগে, আরেক প্রার্থী বিবেক রামাস্বামীও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছেন। নিজ অঙ্গরাজ্য আইওয়ার ককাসে বাজেভাবে হেরে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বিবেক রামাস্বামী তুলনামূলক কম পরিচিত মুখ। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ করেই রিপাবলিকান পার্টি থেকে মনোনয়ন দৌড়ে নেমে পড়েন তিনি। অভিবাসন এবং ‘আমেরিকাই প্রথম’ এসব নীতির বিষয়ে তাঁর দৃঢ় এবং যৌক্তিক মতামত রিপাবলিকান পার্টির ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: