ট্রাম্পের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৬ জানুয়ারী ২০২৪ ১৮:৩৬

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের ক্যাপিটল হিলে হামলার ৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। তিন বছর পূর্ণ হওয়ার ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাইমারিতে অংশগ্রহণ করার ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি জানিয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে হারার পর ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি তাঁর সমর্থকেরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে অবস্থিত কংগ্রেস ভবনে ভাঙচুর চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। দেশটির ২০০ বছরেরও বেশি সময়ের ইতিহাসে এমন কখনোই ঘটেনি।

এই হামলায় ট্রাম্প জড়িত অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে একাধিক মামলা হয়েছে। সে রকমই একটি মামলায় কলোরাডো হাইকোর্ট অঙ্গরাজ্যটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাইমারিতে অংশগ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পরে একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় অপর অঙ্গরাজ্য মেইনে।

সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টার কারণে তাঁকে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে বাইরে রাখা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে। আদালত আরও জানিয়েছেন, তাঁরা পুরো বিষয়টি দেখভাল করবেন।

বিষয়টি নিয়ে বিচারকেরা দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন। কারণ ভোটাররা শিগগিরই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাইমারি ভোট দেওয়া শুরু করবেন। গুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনা করে আদালত শীতকালীন ছুটির সময় ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি করবেন। আগামী ৫ মার্চের আগেই ট্রাম্পের ভাগ্য নির্ধারণী রায় দিয়ে দিতে পারেন আদালত।

এর আগে কলোরাডো সুপ্রিম কোর্ট গত ১৯ ডিসেম্বর এক রায়ে ঘোষণা দেন—যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে লড়তে পারবেন না। রায় অনুসারে, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের প্রাইমারি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না ট্রাম্প।

কলোরাডো সুপ্রিম কোর্টের সাতজন বিচারকের একটি বেঞ্চ ৪-৩ ভোটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই রায় দেন। এ সময় তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘বিদ্রোহ’ সংক্রান্ত ধারাগুলোর আশ্রয় নেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দেশটির সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর ধারা-৩ প্রয়োগ করে তাঁকে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অনুপযোগী বলে ঘোষণা করা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: