যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে অর্থাৎ, দলীয় প্রাইমারি ভোটের ব্যালটে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মেইন রাজ্য। ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ট্রাম্পকে ব্যালটে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রাজ্যটির শীর্ষ নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে দুটি রাজ্যে নিষিদ্ধ হলেন ট্রাম্প। খবর বিবিসি ও এএফপির।
আমেরিকান সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর ‘বিদ্রোহের ধারা’ উদ্ধৃত করে মেইন রাজ্যের শীর্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তা শিনা বেলোস বলেন, ট্রাম্প ২০২১ সালে ইউএস ক্যাপিটল দাঙ্গায় উস্কানিদাতা হিসেবে ভূমিকার কারণে নির্বাচনে অযোগ্য। তিনি এ রাজ্যে আগামী বছর প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
৩৪ পৃষ্ঠার রায়ে সেক্রেটারি অব স্টেট পদে থাকা ডেমোক্রেট শিনা বেলোস বলেন, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে প্রবেশের লড়াইয়ে আর দৌঁড়াতে পারবেন না, কারণ ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে দাঙ্গায় তার ভূমিকা ধারা সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর ৩ ধারা লঙ্ঘন করেছে। ওই ধারায় ‘বিদ্রোহে জড়িত’দের হোয়াইট হাউসে প্রবেশের লড়াইয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২০২৪ সালের আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ট্রাম্পকে এ নিয়ে ব্যালটে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল দুটি রাজ্য। এর আগে গত সপ্তাহে সর্বপ্রথম কলোরাডো রাজ্যে ট্রাম্পকে রিপাবলিকান প্রাইমারিতে নিষিদ্ধ করা হয়।
সম্প্রতি মিশিগান ও মিনেসোটা রাজ্যেও ট্রাম্পকে ব্যালটে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা চালানো হয়, তবে তা খারিজ করেছেন সেখানকার আদালত।
রাজ্যদুটির সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের ওপর চাপ বাড়াবে এবং আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হওয়াটাই ট্রাম্পের জন্য দুষ্কর হয়ে উঠবে।
যদিও শেষ পর্যন্ত, মেইন ও অন্যান্য রাজ্যে ট্রাম্প ব্যালটে থাকবেন কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
মেইন রাজ্যে নিষেধাজ্ঞার আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবির। শিনা বেলোসকে ‘একজন হাইপার-পার্টিজান বাইডেন-সমর্থক ডেমোক্র্যাট’ বলে সমালোচনা করে ট্রাম্পশিবিরের দাবি, ওই নারী নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছেন।
ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং বলেন, আমরা মেইনে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়া রোধ করতে দ্রুত আদালতে আইনি আশ্রয় নেব।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: