যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর গোপনীয় এক্স-৩৭বি রোবোটিক স্পেসপ্লেন ফ্লোরিডা থেকে উড্ডয়ন করেছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম মিশন। ২৮ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশযানটি যাত্রা শুরু করে। দর্শনীয় এ উড্ডয়নটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
মিশনটিতে প্রথমবারের মতো স্পেসএক্স ফ্যালকন হেভি রকেট ব্যবহার করে স্পেসপ্লেনটি ওড়ানো হয়েছে। রকেটটি এ স্পেসপ্লেনকে আগের চেয়ে উচ্চতর গতিতে কক্ষপথে পৌঁছে দিতে সক্ষম। ফ্যালকন হেভি তিনটি তরল-জ্বালানিযুক্ত রকেট কোরের সমন্বয়ে গঠিত। চীনের নিজস্ব রোবট স্পেসপ্লেন উড্ডয়নের দুই সপ্তাহ পর যুক্তরাষ্ট্রও তাদের স্পেসপ্লেন পাঠাল।
চীনের রোবট স্পেসপ্লেনটি শেনলং বা ডিভাইন ড্রাগন নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে মহাকাশে দুই দেশের ক্রমবর্ধমান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হয়।
২০২০ সালের পর থেকে এটি কক্ষপথে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় মিশন। পেন্টাগন এক্স-৩৭বি মিশন সম্পর্কে কম তথ্য প্রকাশ করেছে। এই মিশন বছরের পর বছর স্থায়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং সামরিক বাহিনীর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্পেস লঞ্চ কর্মসূচির অধীনে আমেরিকান স্পেস ফোর্সের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
বোয়িং-নির্মিত এই স্পেসেপ্লেনটি প্রায় নয় মিটার (২৯ ফুট) লম্বা এবং একটি মিনি স্পেস শাটলের মতো। মনুষ্যবিহীন মহাকাশযানটি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে পারে।
প্রথম মিশনটি ছিল ২০১০ সালে এবং সাম্প্রতিক আরও একটি মিশন হয় ২০২০ সালের মে মাসে। সেই ফ্লাইটগুলো ২ হাজার কিলোমিটার (এক হাজার ২০০ মাইল) নীচের উচ্চতায় নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে সীমাবদ্ধ ছিল।
পেন্টাগন এই মিশনের সময় বিমানটি কতটা উঁচুতে উড়বে তা জানায়নি। গত মাসে একটি বিবৃতিতে এয়ার ফোর্স র্যাপিড ক্যাপাবিলিটি অফিস বলেছে, ‘এটি নতুন অরবিটাল রেজিমগুলোর পরীক্ষা এবং ভবিষ্যতের মহাকাশ ডোমেন সচেতনতা প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা করবে।’ এক্স-৩৭বি মহাকাশের পরিবেশে উদ্ভিদের বীজ কীভাবে প্রভাবিত হয় তা জানার জন্যও পরীক্ষা চালাচ্ছে।
সর্বশেষ এক্স-৩৭বি মিশনের পরিকল্পিত সময়কাল সর্বজনীন করা হয়নি। তবে এটি সম্ভবত ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বা তার পরেও চলবে। শেষ মিশনটি গত বছরের নভেম্বরে কেনেডি স্পেস সেন্টারে রানওয়েতে নামার আগে আড়াই বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল।
সূত্র: আলজাজিরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: