কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া শেষবারের মত ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেবে বাইডেন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৫

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের জন্য সর্বশেষ সামরিক সহায়তা দিল বাইডেন প্রশাসন। ২৫০ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের এই সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা, আর্টিলারি এবং ছোট অস্ত্রের গোলাবারুদ ও ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র। 

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশ ও স্বাধীনতা বাঁচাতে লড়াই করছে ইউক্রেন। আর এ কারণে আমাদের ইউক্রেনীয় অংশীদারদের সহায়তা করা গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনের আত্মরক্ষা এবং দেশটির ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে সহায়তার মাধ্যমে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ এগিয়ে নিতে কংগ্রেসের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এক পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, ২৭ ডিসেম্বর ইউক্রেনের জন্য ঘোষণা দেওয়া ২৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে বিমানবিধ্বংসী স্টিংগার মিসাইল এবং হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমের (হিমারস) জন্য অতিরিক্ত গোলাবারুদ রয়েছে।

কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই এই তহবিল দেওয়া হচ্ছে। ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে অতিরিক্ত ১০৫ বিলিয়ন ডলারের বিল উত্থাপন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিলটি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের পাস হয়ে গেলেও উচ্চকক্ষ সিনেটে গিয়ে রিপাবলিকানদের আপত্তির মুখে আটকে যায়।

ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে কংগ্রেসের ব্যাপক সমর্থন থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করাকে সামরিক চুক্তির একটি অংশ হিসেবে রাখার দাবি জানিয়ে বিলটি আটকে দেয় রিপাবলিকানরা। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলদিমির জেলেনস্কির একাধিক যুক্তরাষ্ট্র সফরেও মন গলেনি আইনপ্রণেতাদের।

তবে গত বুধবার হোয়াইট হাউসের এই ঘোষণার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল না। কারণ, পেন্টাগনের কাছে থাকা অস্ত্রের মজুত থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে। আর কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া বাইডেন প্রশাসনের পক্ষে এবারই ছিল শেষবার ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া।

ইউক্রেন কিছুদিন আগে বলেছিল, পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে সহায়তা না এলে তাদের যুদ্ধের পরিকল্পনা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। ইউক্রেনের পূর্ব অংশে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের মাত্রা অনেকটাই মন্থর করতে বাধ্য হয়েছে ইউক্রেন। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো থেকে সহায়তার পরিমাণ কমে আসার আশঙ্কা করছিলেন তারা।

ইউক্রেন ৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের বাজেট ঘাটতির সম্মুখীন। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, পশ্চিম থেকে আরও সাহায্য শিগগিরই না এলে তাদের সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও পেনশন বিলম্বিত হতে পারে। তার ওপর এ মাসের শুরুতেই ইউক্রেনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৫ হাজার কোটি ইউরোর সহায়তা প্যাকেজ আটকে দিয়েছিল হাঙ্গেরি।               



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: