ইউক্রেনকে সাহায্য করার মতো অর্থ নেই যুক্তরাষ্ট্রের

মুনা নিউজডেস্ক | ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:১৬

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত


যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে রিপাবলিকানরা ১০ হাজার কোটি ডলারের প্যাকেজ আটকে দিয়েছেন। ইউক্রেনকে সাহায্য করার অর্থ নেই বাইডেনের। অন্যদিকে কংগ্রেস দ্রুত এই প্যাকেজ অনুমোদন না করলে রাশিয়া লাভবান হবে বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে, আমাদের হাতে ইউক্রেনকে সাহায্য করার মতো অর্থও আর নেই।


কংগ্রেস যদি প্যাকেজ অনুমোদন না করে, তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনকে সাহায্য করা যাবে না।’
গত অক্টোবরে বাইডেন প্রশাসন কংগ্রেসকে ১০ হাজার কোটি ডলারের প্যাকেজ অনুমোদন করতে বলে। এর থেকে ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে সাহায্য করার কথা ছিল। কিন্তু হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে এখন রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।


তাঁরা এই অনুমোদন দেননি।
সোমবার হাউসের স্পিকারকে চিঠি লিখেছেন জো বাইডেনের বাজেট ডিরেক্টর। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের হাতে কোনো জাদুর ঘোড়া নেই, যা দিয়ে আমরা পরিস্থিতি সামলাতে পারি। আমাদের হাতে কোনো অর্থ নেই।


আর আমাদের হাতে সময়ও নেই।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘যদি কংগ্রেস ওই প্যাকেজে অনুমোদন না করে, তাহলে এ বছরের শেষে আমাদের হাতে কোনো অর্থ থাকবে না, যা দিয়ে আমরা ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র বা যন্ত্রপাতি কিনতে পারব। আর এই অস্ত্র ও সাহায্য না পেলে ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে লড়তে পারবে না। তারা যেটুকু অর্জন করেছে, তা-ও নষ্ট হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের জতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, ‘যদি প্যাকেজ অনুমোদিত না হয়, তাহলে রাশিয়া লাভবান হবে।


’ তিনি সংবাদিকদের বলেছেন, ‘কংগ্রেসকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা ইউক্রেনের স্বাধীনতার লড়াইয়ে সাহায্য করবে, নাকি পুতিনের লাভ দেখবে।’
স্পিকারের জবাব
হাউসের স্পিকার মাইক জনসন হোয়াইট হাউসের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বাইডেন প্রশাসনের ইউক্রেন নিয়ে কোনো স্পষ্ট কৌশল নেই। এই বিরোধ মেটানোর পথ কী, মার্কিন করদাতার অর্থ দিয়ে যে সাহায্য করা হচ্ছে, তা খরচ করার পরিকল্পনা কোথায়, এর জন্য কে দায়বদ্ধ থাকবে? এ সবই হলো ন্যায্য প্রশ্ন।’

তিনি আরো লিখেছেন, ‘জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে যদি কোনো বাড়তি প্যাকেজ দিতে হয়, তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত থেকে শুরু হওয়া দরকার।’

সিনেটের রিপাবলিকান নেতা ম্যাকনেল জানিয়েছেন, ‘এটা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।’ রিপাবলিকানরা বলছেন, মার্কিন সীমান্তের নিরাপত্তা, অভিবাসীদের বিষয়টি বাইডেনকে স্পষ্ট করতে হবে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: