ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ইসরাইলকে ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পাশাপাশি অজস্র অস্ত্র ও গোলাবারুদও দেয়া হয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে। ২ ডিসেম্বর, শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএলইউ-১০৯ নামের এই বাংকার বাস্টার বোমাগুলো শক্ত কাঠামো ছেদ করতে সক্ষম। শক্ত কাঠামো ছেদ করার পর এটিতে বিস্ফোরণ ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সামরিক কর্মকর্তা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে এ ধরনের ১০০টি বোমা দিয়েছে। এই বোমা ৯০০ কেজির ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। এসব বোমা এর আগে আফগানিস্তানে ব্যবহার করেছিল আমেরিকান সেনারা।
তবে ইসরাইলকে যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র এই বোমাই দেয়নি সঙ্গে আরও শক্তিশালী ও আধুনিক মারণাস্ত্র দিয়েছে। যেগুলোর আঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ছয় হাজার ১১৫ জনই শিশু।
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর ইসরাইলকে নিয়মিত অস্ত্র সরবরাহ করে আসলেও; সেগুলোর তথ্য গোপন রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরাইলের নিন্দা জানানোয় তারা গোপনে এসব বোমা ইসরাইলে পাঠাচ্ছে।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে গাজায় ব্যবহারের জন্য ১৫ হাজার বোমা এবং ১৫৫ মিলিমিটারের ৫৭ হাজার শেল পাঠিয়েছে। যেগুলো সি-১৭ মিলিটারি কার্গো বিমানে করে ইসরাইলে পৌঁছে দিয়েছে সেনারা।
ইসরাইলে পাঠানো ১৫ হাজার বোমার মধ্যে রয়েছে- পাঁচ হাজার এমকে৮২ বোমা, পাঁচ হাজার ৪০০ এমকে৮৪ বোমা, প্রায় এক হাজার জিবিউ-৩৯ স্মল-ডায়ামিটার বোমা এবং প্রায় তিন হাজার জেডিএএমস।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো বোমা দিয়ে গাজায় সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলাগুলো চালানো হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের একটি ভবনে ভয়াবহ হামলা। ওই হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
যদিও সেসসময় ইসরাইলি দাবি করেছিল, এটি ন্যায়সঙ্গত হামলা ছিল। কারণ এতে হামাসের এক কমান্ডার নিহত হয়েছিলেন।
সূত্র : ওয়াল স্ট্রিট
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: