জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে হামাসের টালবাহানার প্রমাণ নেই : জন কিরবি

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ০১:৪৯

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি : সংগৃহীত ছবি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি : সংগৃহীত ছবি


যুক্তরাষ্ট্রের জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে হামাসের টালবাহানার কোনো প্রমাণ পায়নি হোয়াইট হাউস। গতকাল ২৮ নভেম্বর, মঙ্গলবার কলোরাডোর ডেনভারে এয়ারফোর্স ওয়ানে থাকা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি।

সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াশিংটন আশা করছে যে, গাজা থেকে আরও আমেরিকান বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে।

জন কিরবি বলেন, ‘সকল জিম্মি মুক্তি পাক, আমরা সেটাই দেখতে চাই। আর যুদ্ধবিরতির মাঝেই সেটাই সম্ভব।’

যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করে, আট থেকে নয়জন আমেরিকান নাগরিককে এখনো অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আটকে রাখা হয়েছে। তবে সেই বন্দীদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে টালবাহানা বা তাদেরকে জিম্মি করে কোনো সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে হামাস, এমন কোনো প্রমাণ পায়নি হোয়াইট হাউস।

জন কিরবি বলেন, হামাসের হাতে বন্দী আমেরিকান নাগরিকের সংখ্যা খুব বেশি নয়। আর মুক্তির অপেক্ষায় থাকা নারী ও শিশুর সংখ্যাও ছোট। ধারণা করা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের সকল জিম্মি হয়তো এক জায়গায় নেই। মুহূর্তের নোটিশেই তাদের একসঙ্গে মুক্তি দেওয়া হামাসের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বন্দীকে আজ (মঙ্গলবার) মুক্তি দেওয়া হয়নি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে আমরা আশাবাদী যে, আগামীকালের চিত্র ভিন্ন হতে পারে।’

গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী বলে জানান জন কিরবি। তবে এটা হামাসের বন্দী মুক্তির ওপর নির্ভর করছে বলেও মন্তব্য তার। চলতি সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মধ্যপ্রাচ্য সফরের ব্যাপারেও বলেন তিনি। তেল আবিবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও রামাল্লায় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ব্লিঙ্কেন বৈঠক করবেন বলে জানান কিরবি।

ন্যাটোর একটি সভায় যোগ দিতে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে রয়েছেন ব্লিঙ্কেন। সেখানে এক আমেরিকান কর্মকর্তা জানান, মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গাজায় মানবিক ত্রাণসহায়তা বাড়ানোর ব্যাপারে জোর দেবেন। এ ছাড়া হামাসের হাতে থাকা বন্দীদের মুক্তি ও গাজার বাসিন্দাদের সুরক্ষা বাড়ানো নিয়েও কথা বলবেন।

মধ্যপ্রাচ্যে মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে গাজার ভবিষ্যতের পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা করবেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধ চলার পর গত শুক্রবার চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরায়েল। গত সোমবার ১১ ইসরায়েলি জিম্মি ও ৩৩ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে শুক্রবার থেকে চলা যুদ্ধবিরতিতে ১৮০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে হামাস মুক্তি দিয়েছে অর্ধশতাধিক ইসরায়েলিকে।


সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: