ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ২৪ নভেম্বর, শুক্রবার চার দিনের শুরু হওয়া সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বাস্তবসম্মত সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২৪ নভেম্বর, শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপাকালে এ কথা বলেন প্রেসিডেন্ট।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটি কাটাতে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ন্যানটাকেট দ্বীপে অবস্থান করছেন বাইডেন।
সেখানেই এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শুক্রবার প্রথম দফায় জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার মধ্য দিয়ে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির ‘সবে সূচনা’ হয়েছে।
সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ার আশাবাদ জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘আমি মনে করি, এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বাস্তবসম্মত সুযোগ আছে।’
যুদ্ধবিরতি কার্যকর নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আজ সকালে কয়েক দিন মেয়াদি এ চুক্তি কার্যকর হওয়ার সময়ে আমি আমার দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এ তো কেবলই শুরু। তবে এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, তা ভালোভাবেই হয়েছে।’
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর কতদিন বাড়তে পারে এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না ঠিক কতদিন তা বাড়তে পারে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আরব বিশ্ব যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, এই যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ হ্রাস করতে যেভাবে বিভিন্ন দিক থেকে চাপ প্রয়োগ করছে, তাতে আশা করা যায় যে শিগগিরই সেখানে যাবতীয় সংঘাতের অবসান আমরা ঘটাতে পারব।’
গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলার পর গোষ্ঠীটিকে নির্মূলে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরাইল। গাজায় উপত্যকায় নির্বিচার ও বিরামহীন বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। সপ্তাহ খানেক পর শুরু করে স্থল অভিযান।
হামাসের হামলায় ইসরাইলে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরাইল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রাখে হামাস।
গাজার হামাস সরকারের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরাইলের হামলায় ১৪ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই শিশু। এই অবস্থায় শুক্রবার থেকে জিম্মি ও বন্দিবিনিময়ের শর্তে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চার দিনের এ যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: