ইসলাম বিদ্বেষী আচরণ করায় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক প্রাক্তন সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির নাম সেলডোভিটস। নিউইয়র্ক সিটির একজন খাদ্য বিক্রেতার সাথে ইসলাম বিরোধী আচরণ করায় তাকে পুলিশ আটক করেছে। ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর ভাইরাল হয়। ভিডিওটি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ৪০ মিলিয়ন ভিউ হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি সেই খাবার বিক্রেতাকে সন্ত্রাসী বলছেন। হামাসের পক্ষে মন্তব্য করার ওই বিক্রেতাকে সেলডোভিটস এই কথা বলেন বলে জানান।
খাবার বিক্রেতার মোহাম্মদ হুসাইন অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি হামাসের পক্ষ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন, সেলডোভিটসকে বুধবার হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তবে এই অভিযোগের তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বিবরণ পাওয়া যায়নি।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সেলডোভিটসকে আরো বলতে শোনা যায়, ‘আমরা ৪ হাজার ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা কিরেছি কিন্তু আপনি কি জানেন, এটি যথেষ্ট ছিল না।’
তিনি বিক্রেতাকে ‘অজ্ঞ’ বলে অভিহিত করেন এবং তার পরিবারকে মিসরীয় পুলিশ নির্যাতন করতে পারে বলে বলতে শোনা যায়। এছাড়া মহানবী সা. ও কুরআন সম্পর্কেও মন্তব্য করতে শোনা যায়। ভিডিওতে একজন পথিক বিক্রেতার পক্ষ নিয়ে সেলডোভিটসকে বলেন, ‘আপনি এই লোকটিকে হয়রানি করছেন।’
তখন সেলডোভিটস জবাব দেন, ‘তিনি ( বিক্রেতা) ইহুদিদের হত্যা করতে পছন্দ করেন।’
সেলডোভিটস স্বীকার করেছেন ওই ভিডিওতে তিনিই ছিলেন। তিনি বলেন, 'যে সন্ত্রাসবাদ এবং নিরপরাধ বেসামরিকদের হত্যার সমর্থন করছে, তাদের উত্তর দেওয়া উচিত।'
তবে সিটি অ্যান্ড স্টেটের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে সেলডোভিটসকে বলতে শোনা যায়, ‘পুরো ঘটনাটির জন্য আমি দুঃখিত। ওই মুহূর্তে রাগে আমি এমন কিছু বলেছি, যা সম্ভবত আমার বলা উচিত হয়নি।’
অনেক নিউইয়র্কবাসী ওই খাবার বিক্রেতা হুসাইনকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমর্থন জানিয়েছেন।
নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করেছেন, ‘ইসলামোফোবিয়া হলো ঘৃণা। এই জঘন্য, অসম্মানজনক কথার কোনো স্থান আমাদের শহরে নেই। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি বিষয়ক অফিসসহ আমেরিকান পররাষ্ট্র দফতরে সেলডোভিটস দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীনে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
সূত্র : বিবিসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: