ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন লয়েড এক ঝটিকা ও আকস্মিক সফরে গিয়ে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওয়াশিংটনের অব্যাহত সহায়তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।
২০ নভেম্বর, সোমবার তিনি আরও ১০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার একটি প্যাকেজ দেওয়ার কথাও জানান প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে।
এর আগে অস্টিন ২০২২ সালের এপ্রিলে প্রথম কিয়েভ সফরে যান। সে সময় তিনি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ ও সামরিক বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
এদিকে সোমবারের সাক্ষাতের বিষয়ে জেলেনস্কিকে অস্টিন জানান, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় আপনাদের পাশে রয়েছে। আমরা দীর্ঘকালীন নিয়েই আপনাদের পাশে থাকব।
তিনি বলেন, আশা করি বিশ্বব্যাপী রুশ আগ্রাসনকে ইউক্রেন পরাজিত করবে। এদিকে নতুন এই সামরিক প্যাকেজের আওতায় ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও হিমার্স রয়েছে।
এ সময় জেলেনস্কি এমন সহায়তাকে ইউক্রেনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, আমরা আপনাদের সমর্থনের প্রতিটি দিনক্ষণ গুনে রাখছি।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনকে শত শত কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে ‘যত দিন প্রয়োজন’ এই সহযোগিতা দিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রিপাবলিকান পার্টির কট্টরপন্থি আইনপ্রণেতাদের বিরোধিতার মুখে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সহায়তা নিয়ে অবশ্য সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে এক বিবৃতিতে পেন্টাগন বলেছে, ইউক্রেনের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এবং দেশটির মুক্তির লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করতে কিয়েভ সফর করছেন অস্টিন। নিরাপত্তার কারণে সফরের বিষয়টি আগে থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর থেকে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কিয়েভ সফরে গেলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
পেন্টাগনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘রুশ আগ্রাসন থেকে আত্মরক্ষায় ইউক্রেনকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সহায়তা প্রদানের যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির বিষয়টি প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরছেন এ সফরে।’
এ পর্যন্ত যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে ৪৪ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া ৩৫ বিলিয়ন ডলার এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র জোটভুক্ত দেশগুলো হতে।
সূত্র: আলজাজিরা, রয়টার্স
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: