ইসরাইলের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি বাইডেনের

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৫৯

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন : সংগৃহীত ছবি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন : সংগৃহীত ছবি

গাজায় স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধের জেরে ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় দেড় মাস ধরে অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী। ইসরাইলের সেসব সরকারি কর্মকর্তা অভিযানকে সহিংস করার নির্দেশ দিচ্ছেন, তাদের ওপরও এবার ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

১৮ নভেম্বর, শনিবার দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে ‘দ্য ইউএস ওন্ট ব্যাক ডাউন ফ্রম দ্য চ্যালেঞ্জ অব পুতিন অ্যান্ড হামাস’ শিরোনামে বাইডেনের একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

নিবন্ধে জো বাইডেন লিখেছেন, ’আমি ইসরাইলের নেতাদের জোরালোভাবে বলছি, পশ্চিম তীরে ব্যাপক সহিংসতা চলছে এবং অবশ্যই তা বন্ধ করতে হবে। যদি তা না হয়, সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করতে বাধ্য হবে। সেসব পদক্ষেপের মধ্যে ভিসা নিষেধাজ্ঞাও অন্তর্ভুক্ত ‘

ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা নিবন্ধে আরও একবার হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ অবসানে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের (টু স্টেট সলিউশন) ওপর জোর দিয়েছেন বাইডেন।

তিনি বলেন,’ যেহেতু আমরা শান্তির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, গাজা ও পশ্চিম তীরকে একটি একক শাসন-কাঠামোর অধীনে পুনরেকত্রিত হওয়া উচিত, শেষ পর্যন্ত একটি পুনরুজ্জীবিত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকা উচিত। কেননা, আমরা সবাই একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছি।’

প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে বাস্তুচ্যুত করা চলবে না, পুনর্দখল চলবে না, কোনো নিরোধ বা অবরোধ চলবে না এবং ভূখণ্ডের পরিমাণ হ্রাস করানো যাবে না।

চলমান ইসরাইল-হামাস সংঘাত শেষে গাজার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কী চায়, মূলত সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে বাইডেন এ নিবন্ধের আশ্রয় নিয়েছেন।

এর আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘অদূর ভবিষ্যতে’ গাজার ‘সামগ্রিক সামরিক দায়িত্ব’ ইসরাইলকে হাতে তুলে নিতে হবে।

ইসরাইল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইল বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা গত ৭ অক্টোবর থেকে বেড়েছে। ওই দিন ইসরাইলে অতর্কিতে হামলা চালায় হামাস। জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় টানা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। এ পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস কর্তৃপক্ষ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ হাজার শিশু।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: