খুনের দায়ে ৩৬ বছর কারাভোগের পর নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন তিন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি। প্রকৃত আসামিকে বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ আলামত সরিয়ে ফেলে তাঁদের কাছ থেকে জোর করে মিথ্যা সাক্ষ্য নেওয়া হয়। তাঁদের প্রায় পাঁচ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
বাল্টিমোর পুলিশ ডিপার্টমেন্টের প্রধান আইনি পরামর্শদাতা জাস্টিন কনরয় বলেন, ‘এই তিনজন কিশোর বয়সে জেলে গিয়েছিলেন। এখন ৫০ বছর বয়সে দাদা হয়ে বের হয়েছেন।’
এই তিনজন হলেন আলফ্রেড চেস্টনাট, র্যানসম ওয়াটকিনস ও অ্যান্ড্রু স্টুয়ার্ট। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৮৩ সালের ‘থ্যাঙ্কস গিভিং ডে’তে গ্রেপ্তার হন। তাঁদের বিরুদ্ধে জ্যাকেটের জন্য ১৪ বছর বয়সী কিশোরকে খুন করার অভিযোগ আনা হয়। দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এর কয়েক দশক পর চেস্টনাট জানতে পারেন যে তাঁদের মামলা পরিচালনার সময় কয়েকটি প্রমাণ তাঁর আইনজীবীর কাছ থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি তখন বাল্টিমোরের কনভিকশন ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর মামলার নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে আপিল করা হয়।
আপিলের রায়ের নথি অনুযায়ী, প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য-প্রমাণসহ অন্যান্য আলামত উপেক্ষা করেছিলেন তদন্তকারীরা। কারণ, এসব প্রমাণ তাঁদের বয়ানের বিরুদ্ধে যায়। তাই তাঁরা তিন কিশোরকে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করে। ওই কিশোরকে হত্যা করে যিনি জ্যাকেট নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি এর মধ্যে মারা গেছেন।
বাল্টিমোর সিটি স্টেটের অ্যাটর্নি মেরিলিন মসবি তখন বলেছিলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য গোপন করা এবং সাক্ষ্যের ভুল উপস্থাপনা এটাই প্রমাণ করে যে প্রকৃত আসামি অন্য কেউ।
২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর থ্যাঙ্কস গিভিং ডের তিন দিন আগে একজন বিচারক তাঁদের আপিল মঞ্জুর করে অবিলম্বে মুক্তির আদেশ দেন। তারপর গত ১৮ অক্টোবর বুধবার শহর কর্তৃপক্ষ তাঁদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন।
সূত্র : সিএনএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: