ফেনটানাইল উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ২৫টি চীনভিক্তিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বেদনানাশক বা চেতনানাশক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ফেনটানাইল। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ওষুধের যে সংকট চলছে তাতে ফেনটানাইল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বলেছেন, এর সরবরাহ চেইন প্রায়শই শুরু হয় চীনের রাসায়নিক কোম্পানিগুলো থেকে। এপ্রিলে এসব প্রশ্নের জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, চীন ও মেক্সিকের মধ্যে কোনো ফেনটানাইল পাচার হচ্ছে না। বেআইনিভাবে ফেনটানাইল সরবরাহ বন্ধে চীন সরকারের কাছে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেঁ ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর আহ্বান জানানোর পর এমন মন্তব্য করে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ব্যবহারকারীদের কাছে ফেনটানাইল সরবরাহ দেয়ার জন্য মেক্সিকোর ড্রাগ গ্যাংকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। চিকিৎসকরা বৈধভাবে এই ওষুধ রোগীদের প্রেসক্রাইব করতে পারেন। কিন্তু কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে এটা দিয়ে তৈরি ওপিয়ডের ব্যবহার নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এর উৎপাদনও অবৈধ উপায়ে বেড়েছে। এর ব্যবহারও করা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্তভাবে।
২০২২ সালে এই ড্রাগের ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন ১,০৯,৬৮০ জন মানুষ মারা গেছেন। ফলে ফেনটানাইল উৎপাদন এবং বিতরণের সঙ্গে যুক্ত চীনভিত্তিক নেটওয়ার্ক এবং অন্য অবৈধ ড্রাগের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, ফেনটানাইল সরবরাহ চেইন নিয়মিতভাবে নিজেদের ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে। লেবেলিং করতে গিয়ে অন্য লেবেল লাগায়, যাতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তা শনাক্ত করতে না পারে। এই নিষেধাজ্ঞায় যারা পড়েছে তার মধ্যে আছে ১২টি এনটিটি এবং চীনভিত্তিক ১৩ জন ব্যক্তি। এর বাইরে আছে কানাডাভিত্তিক একজন ব্যক্তি ও দুটি এনটিটি। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত হবে। আমেরিকানরা তাদের সঙ্গে কোনো ব্যবসা করতে পারবে না।
সূত্র : সিএনএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: