রাশিয়াকে অস্ত্র দিলে উত্তর কোরিয়াকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুমকি দিয়েছে ওয়াশিংটন। পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে মস্কোর সম্ভাব্য অস্ত্র সরবরাহ চুক্তি নিয়ে আলোচনার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এই সতর্কবার্তা দেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ আগস্ট, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ওয়াশিংটনের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে আলোচনা জোরালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তথ্য আছে।
সুলিভান আরো বলেন, ‘একটি আধুনিক সার্বভৌম রাষ্ট্রের অঞ্চল দখলের চেষ্টায় এবং শস্যের গুদাম ও শহর উষ্ণ রাখার অবকাঠামোগুলোতে আক্রমণে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের ফলাফল উত্তর কোরিয়ার জন্য ভালো হবে না। এর জন্য দেশটিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে চড়া মূল্য দিতে হবে।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বিবিসি যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী গণমাধ্যম সিবিএসকে জানান, চলতি মাসেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো সফরে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উন। এই সাক্ষাতে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্রসহায়তা দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে সফরবিষয়ক প্রতিবেদনগুলো নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। উত্তর কোরিয়াও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এক সূত্রের বরাতে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিম জং উন সম্ভবত অস্ত্রসজ্জিত ট্রেনে ভ্রমণ করেন। তিনি অবশ্য বরাবর তা-ই করেন। এর আগে চীন সফরের সময়ও তিনি ট্রেনে ভ্রমণ করেছিলেন।
রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে অস্ত্র চুক্তির আলোচনা চলছে—এমন তথ্য আছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ কথা বলার পরই এই সম্ভাব্য সাক্ষাতের খবর এল।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু গত জুলাইয়ে এক সফরে উত্তর কোরিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রিতে রাজি করানোর চেষ্টা করেছেন।
সূত্র : রয়টার্স
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: