এবার উচ্চৈস্বরে আজানের অনুমোদন চান বাল্টিমোরের মুসলিমরা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:০৫

এবার উচ্চৈস্বরে আজানের অনুমোদন চান বাল্টিমোরের মুসলিমরা : সংগৃহীত ছবি এবার উচ্চৈস্বরে আজানের অনুমোদন চান বাল্টিমোরের মুসলিমরা : সংগৃহীত ছবি

 

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটির মতো উচ্চৈস্বরে আজানের অনুমোদন চেয়েছেন বাল্টিমোর সিটির মুসলিমরা। গত ১ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার তারা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাল্টিমোর সিটি কাউন্সিল ভবনের সামনে ‍জুমার নামাজ আদায় করেন।

এই বিষয়ে সিটি মেয়র ব্র্যান্ডন মরিস স্কট জানিয়েছেন, বর্তমানে এই সিটিতে বিপুল সংখ্যক মুসলিম জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। অতীতে তারা নানা বিষয়ে উপেক্ষার স্বীকার হয়েছেন।

তবে বর্তমানে আগের পরিস্থিতি অনেক বদলে গেছে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি মুসলিমদের দাবি আদায়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি। মেয়র তার সঙ্গে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় সহজ করতে তৈরি করতে একজন দায়িত্বশীলও নিয়োগ দেন।

বাল্টিমোর সিটির ইয়েমেনি কমিউনিটির প্রধান আদিব আল-মানসুরি বলেছেন, নিউ ইয়র্ক সিটির খুবই কাছে অবস্থান হওয়ায় বাল্টিমোর সিটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

এর আশাপাশে চারটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য রয়েছে। দায়িত্বশীলদের ওপর চাপ প্রয়োগের নীতি অবলম্বন করে নিউ ইয়র্কের মুসলিমরা নিজেদের দাবি বাস্তবায়ন করেছেন। তাই আমাদেরও একই পথে চলতে হবে। নিউ ইয়র্ক সিটিতে আজান অনুমোদনের পর এবারই প্রথম কাউন্সিল ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত জুমার নামাজে আরব কমিউনিটি প্রকাশ্য আজানের দাবি জানাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সব স্থানের মুসলিম মুসলিম ও নিজেদের দাবি বাস্তবায়নে চেষ্টা করে।

তিনি আরো বলেন, ‘মুসলিম হিসেবে আমরা বেশ কিছু দাবি জানিয়েছি। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো, স্কুলে হালাল খাবার সরবরাহ, ইসলামী বিশ্বাস পরিপন্থী পাঠ বাদ দেওয়া এবং মসজিদে আজানের অনুমোদন দেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ভোট প্রদান ও প্রার্থী হওয়ার মাধ্যমে মুসলিমরা রাজনৈতিক শক্তি অর্জন করেছে। হোয়াইট হাউজসহ সব রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদে মুসলিমদের তাৎপর্যপূর্ণ অবস্থান রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার নিউ ইয়র্ক সিটির মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে আজান শোনা যায়। এর আগে ২৯ আগস্ট প্রতি সপ্তাহে জুমার আজান ও রমজান মাসে মাগরিবের আজান দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস। স্থানীয় মুসলিম নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ বিভাগের সহায়তায় আওয়াজের সীমারেখা নির্ধারণ করা হবে।

 

সূত্র : আল-জাজিরা মুবাশির



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: