ট্রাম্পের মাগশট থেকে আয় ৭০ লাখ ডলারের বেশি

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৯ আগস্ট ২০২৩ ০৮:২১

ট্রাম্পের মাগশট থেকে আয় ৭০ লাখ ডলারের বেশি : সংগৃহীত ছবি ট্রাম্পের মাগশট থেকে আয় ৭০ লাখ ডলারের বেশি : সংগৃহীত ছবি


যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় ফুলটন কাউন্টি কারাগারে সম্প্রতি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি মুখচ্ছবি তোলা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর মুখচ্ছবিটি তোলা হয়েছিল। ভ্রু কুঁচকে বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে থাকা সেই মুখচ্ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য তৈরি এবং বিক্রি করছে ট্রাম্পের প্রচার শিবির। এর মধ্য দিয়ে সমর্থকদের কাছ থেকে নির্বাচনের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছে তারা। এ থেকে এ পর্যন্ত আয় হয়েছে ৭০ লাখ ডলারের বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় ২০২০ সালে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার আটলান্টার ফুলটন কাউন্টি কারাগারে আত্মসমর্পণ করেন ট্রাম্প। সেখানে তাঁর একটি মুখচ্ছবি নেওয়া হয়। তিনিই প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট, যাঁকে গ্রেপ্তারের পর মুখচ্ছবি নেওয়া হয়েছে। পরে দুই লাখ ডলারের মুচলেকায় তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।

সেদিনই ফুলটন কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় ট্রাম্পের মুখচ্ছবিটি প্রকাশ করে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ট্রাম্পের প্রচার শিবির ছবিটি দিয়ে টি–শার্ট তৈরি করে বিক্রি শুরু করে। মূলত মাগশটটি বিভিন্ন পোশাক, মগ ও কোমল পানীয়ের বোতলে ব্যবহার করা হয়েছে। এসবের মাধ্যমেই বেশিরভাগ অর্থ তহবিলে এসেছে।

এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে প্রচার শিবিরের মুখপাত্র স্টিভেন চিউং লিখেছেন, ২৪ আগস্ট, বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের মুখচ্ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর লাখ লাখ ডলার অনুদান এসেছে। শুধু শুক্রবারেই ট্রাম্পের ছবিযুক্ত পণ্যগুলো বিক্রি করে ৪১ দশমিক ৮ লাখ ডলার আয় হয়েছে।

২০১৬ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হন। ট্রাম্প ২০২৪ সালে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও রিপাবলিকান দলের হয়ে প্রার্থিতা চান।

যদিও ট্রাম্প সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, বলেছেন মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জর্জিয়া ও ক্যাপিটল দাঙ্গার মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকে তিন সপ্তাহে ট্রাম্প শিবিরের তহবিলে প্রায় ২ কোটি ডলার সংগ্রহ হয়েছে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর জনমত জরিপে দেখা গেছে দেশজুড়ে তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।

সূত্র : সিএনএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: