যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় শ্বেতাঙ্গ বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন তিন কৃষ্ণাঙ্গ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদেরকে হত্যার পরে ওই বন্দুকধারীও আত্মহত্যা করেন। ১৬ আগস্ট, শনিবার ফ্লোরিডা রাজ্যের জ্যাকসনভিলেতে এ ঘটনা ঘটে। খবর- এএফপি।
শেরিফ টিকে ওয়াটারস বলেন, বন্দুকধারীর বয়স ২০ বছরের মতো। আত্মঘাতী বন্ধনী পরে এআর-রাইফেল ও হ্যান্ডগান নিয়ে ডলার জেনারেল নামে একটি দোকানে ঢুকে তিনি গুলি চালাতে শুরু করেন।
ওই শেরিফ আরও বলেন, বন্দুকধারীর লক্ষ্য ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গরা। এটা খুব স্পষ্ট, তাঁদেরই তিনি গুলি করে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। শ্বেতাঙ্গ ওই বন্দুকধারী বর্ণবাদী ছিলেন। কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি তাঁর বিদ্বেষ ছিল। ঘৃণা থেকেই বন্দুকধারী এ রকম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
জ্যাকসনভিল শহরের এফবিআই অফিসের ইনচার্জ শেরি ওঙ্কস বলেন, এ হেইট ক্রাইমের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছেন ফেডারেল কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, হেইট ক্রাইম দমনে এফবিআই সব সময় অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। কারণ এটা শুধু কোনো ভুক্তভোগীর ওপর হামলা নয়, এটা পুরো সম্প্রদায়ের প্রতি হুমকির পাশাপাশি ভীতি ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে গণগুলির ঘটনা অনেকটা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতি দিনই দেশটিতে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে বন্দুক সহিংসতা আর্কাইভ। বেশির ভাগ আমেরিকান আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন চান। তবে দেশটির আইনপ্রণেতারা এমন আইন পাসে নারাজ।
সূত্র : এএফপি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: