বিনাপ্রয়োজনে অহেতুক মেডিকেল টেস্ট করানোর অভিযোগে এক ল্যাব মালিককে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। দীর্ঘ তিন বছর ধরে মেডিকেল কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে ১৮ আগস্ট,শুক্রবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।
বিচার বিভাগের সূত্রমতে, অভিযুক্ত নাম মিনাল প্যাটেল ভারতীয় বংশোদ্ভুত ও ল্যাবসলুশ্যন এলএলসির মালিক। তার বিরুদ্ধে ৪৬৩ মিলিয়ন ডলারের মেডিকেল কেলেঙ্কারির সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, মিনাল বিনাপ্রয়োজনের রোগীদের ৪৬৩ বিলিয়ন ডলারের জেনেটিক ও বিভিন্ন টেস্ট করিয়েছেন। এজন্য তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে ঘুসের সাথেও সম্পৃক্ত হয়েছেন।
বিচার বিভাগ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি বিভিন্ন রোগীর দালাল, টেলিমেডিসিন কোম্পানি এবং হাসপাতালের কল সেন্টারের মাধ্যমে টার্গেট রোগীদের ভুয়া মেডিকেয়ারের আশ্বাস দিতেন। তিনি তাদের ব্যয়বহুল ক্যান্সারের জেনেটিক টেস্টের আশ্বাস দিয়ে এমন প্রতারণা করেছেন।
বিচার বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীরা এসব টেস্টে সম্মত হলে মিনাল রোগীর দালালদের টেলিমেডিসিন কোম্পানি থেকে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের অনুমোদনের জন্য ঘুস দিতেন। এরপর তিনি রোগীর দালালদের সাথে মিথ্যা চুক্তিপত্র সম্পাদন করতেন। চুক্তিতে ল্যাব সলুশ্যনের বিজ্ঞাপন দেখে বৈধ উপায়ে সেবা নেওয়ার বিষয় উল্লেখ করা হতো ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ল্যাব সলুশ্যনের বিরুদ্ধে ৪৬৩ মিলিয়ন ডলারের টেস্টের অভিযোগ করা হয়েছে। এ সময়ে অপ্রয়োজনীয় হাজার হাজার টেস্ট করানো হয়েছে। এরমধ্যে কোম্পানিটি ন্যাশনাল হেলথ ইন্স্যুরেন্সকে ১৮৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া তিন বছরে প্রতারণার সাথে জড়িয়ে মিনাল ২১ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
এফবিআইয়ের মিয়ামির ফিল্ড অফিসের ইনচার্জ বি ভেল্ট্রি বলেন, টেলিমেডিসিন সেবায় জেনেটিক টেস্টের ক্ষেত্রে রোগীদের সাথে প্রতারণা বা ঘুষ নেওয়ার কোনো আইনি সুযোগ নেই। অথচ এভাবে জটিল টেস্টের বিষয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন মিনাল। এজন্য তিনি অনুতপ্ত হলেও তাকে এর মূল্য দিতে হবে।
বিচার বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, প্রতারণার অভিযোগে কোম্পানির যাবতীয় সম্পত্তি বাতিলের শুনানির জন্য আগামী ২৫ আগস্ট তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: