সম্পর্ক আরও গভীর করবে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৯ আগস্ট ২০২৩ ০৯:১৩

ক্যাম্প ডেভিডে মিলিত হন তিন দেশের নেতারা : সংগৃহীত ছবি ক্যাম্প ডেভিডে মিলিত হন তিন দেশের নেতারা : সংগৃহীত ছবি

 

সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। একই সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ‘বিপজ্জনক ও আগ্রাসী আচরণের’ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশগুলো। ১৮ আগস্ট,শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ঐতিহাসিক ক্যাম্প ডেভিভ সামরিক ঘাঁটিতে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রথমবারের মত এই শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নেতারা। খবর রয়টার্সের

খবরে বলা হয়েছে, চীনের বর্ধিষ্ণু ক্ষমতা ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রের হুমকির মুখে ঐক্যের বার্তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করে।

বৈঠকের বিষয়ে দেয়া বিবৃতিতে সংকটকালে তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানায় তিন দেশ। একই সঙ্গে আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ, উসকানি ও সাধারণ স্বার্থের ওপর হুমকি মোকাবিলায় সমন্বিত প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়ে একমত হওয়ার কথাও জানায় দেশ তিনটি।

যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ার মিত্র দুই দেশ প্রতি বছর সামরিক মহড়া আয়োজনের বিষয়ে সম্মত হয়। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদান করার বিষয়ে একমত হয় যুক্তরাষ্ট্রসহ তিন দেশ।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হুমকি মোকাবিলায় এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার এ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারকে ন্যাটো সামরিক জোটের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সংস্করণ হিসেবে দেখছে বেইজিং।

জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিবেশী দুই দেশ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ছিল ভিন্ন দুই মেরুতে। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ায় জাপানের রয়েছে দীর্ঘ উপনিবেশিক শাসনের ইতিহাস। তবে সম্প্রতি অঞ্চলটিতে চীন এবং উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত হুমকির মুখে দীর্ঘ তিক্ততা স্বত্ত্বেও সম্পর্ক জোরদারে বাধ্য হচ্ছে টোকিও-সিউল।

সূত্র : রয়টার্স



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: