চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে ‘ভালোভাবে’ কাজ করার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। আজ ২৬ জুলাই, বুধবার তিনি এই মন্তব্য করেছেন গতকাল মঙ্গলবার চীনের শীর্ষ আইনপ্রণেতাদের ভোটাভুটিতে দেশটির শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই-কে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের স্বাক্ষরিত এক আদেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংকে সরিয়ে দেয় বেইজিং।
এর প্রতিক্রিয়ায় অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি ওয়াং ই-কে এক দশকের বেশি সময় ধরে চিনি। আমি তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ করেছি। আশা করছি, অতীতে যেমন করেছিলাম, তেমনি এখনো তাঁর সঙ্গে ভালোভাবে কাজ করতে পারব।’
তবে চীনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে হঠাৎ কেন এমন রদবদল, সেই বিষয়ে কিছুই জানায়নি বেইজিং। ব্লিঙ্কেনও বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। শুধু বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদলে ফেলা চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দায়িত্বশীলভাবে এগিয়ে নেওয়া আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে যিনিই থাকুক না কেন, তাঁর সঙ্গে আমরা কাজ করব।’
চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিষয়ে ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘কিন গ্যাং ওয়াশিংটনে চীনের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় রয়েছে। আমি তাঁর মঙ্গল কামনা করছি।’
সদ্য বিদায়ী চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং মাসখানেক ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন। সবশেষ গত ২৫ জুন রুশ পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী আন্দ্রে রুদেঙ্কোর সঙ্গে তাঁকে সাক্ষাৎ করতে দেখা গিয়েছিল। এর পর থেকে আর কিন গ্যাংয়ের হদিস পাওয়া যায়নি।
তাই তাঁর ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই জল্পনা ছিল। অনেকের ধারণা ছিল, তাঁকে হয় পদচ্যুত করা হয়েছে, না হয় তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।
নতুন দায়িত্ব পাওয়া ওয়াং ই আগেও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ডিসেম্বরে তাঁকে সরিয়ে দিয়ে কিন গ্যাংকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছিল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: