২৯ ট্যাংকারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা 

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:১৭

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

ইরানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্য পরিবহনের অভিযোগে ২৯টি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া সেগুলোর ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের ওপর একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব জাহাজ ও কোম্পানি প্রতারণামূলক শিপিং পদ্ধতি ব্যবহার করে শত শত মিলিয়ন ডলারের ইরানি পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোলিয়াম পণ্য পরিবহন করেছে। ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বলতে সাধারণত এমন জাহাজকে বোঝানো হয়, যেগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত তেল বহন করে। এসব জাহাজ প্রায়ই পুরোনো, মালিকানা অস্পষ্ট এবং আন্তর্জাতিক মানের শীর্ষস্থানীয় বীমা কাভার ছাড়াই চলাচল করে, যার ফলে অনেক বন্দর ও তেল কোম্পানি এগুলো গ্রহণ করে না।

ট্রেজারি বিভাগের সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দা বিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি জন হার্লি এক বিবৃতিতে বলেন, ইরানি সরকার যে পেট্রোলিয়াম আয় ব্যবহার করে তাদের সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচিতে অর্থ জোগায়, তা থেকে তাদের বঞ্চিত করতে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।

এ বিষয়ে ইরানের জাতিসংঘ মিশন তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সমর্থনের কারণে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে ইরান দাবি করে, তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত।

সম্প্রতি ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। পাঁচ দফা পরোক্ষ পারমাণবিক আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর জুন মাসে ১২ দিনের এক সংঘাতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়।

নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় মিশরীয় ব্যবসায়ী হাতেম এলসাইদ ফারিদ ইব্রাহিম সাকরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো অন্তত সাতটি নিষিদ্ধ জাহাজের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি একাধিক শিপিং কোম্পানিকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

এ ছাড়া এই মাসেই যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার তেল বহনকারী একটি ট্যাংকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে, যেটি আগে ইরানি তেল পরিবহনের কারণে নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। ‘স্কিপার’ নামের ওই ট্যাংকারটি ১০ ডিসেম্বর ভেনেজুয়েলার উপকূলে জব্দ করা হয়, যা ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে।

উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ২০২২ সালে ওই ট্যাংকারটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তখন জাহাজটি ‘আদিসা’ নামে পরিচিত ছিল এবং ইরানি তেল বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: