ব্রাউন ইউনিভার্সিটির হামলায় আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেবে কর্তৃপক্ষ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৪৩

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত

ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ‘তদন্তের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে আটক এক ব্যক্তিকে হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে রবিবার রাতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

প্রভিডেন্সের পুলিশপ্রধান অস্কার পেরেজ রবিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, শনিবারের বন্দুক সহিংসতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কুড়ির কোঠায় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল, তবে বিস্তারিত দেননি।

কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর গভীর রাতে আরেক সংবাদ সম্মেলনে প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রিট স্মাইলি এবং অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, তদন্ত ‘ভিন্ন দিকে’ অগ্রসর হওয়ায় আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

রোড আইল্যান্ডের অ্যাটর্নি জেনারেল পিটার নিরোনহা বলেন, ‘আমরা এখনো মামলাটির সমাধান করতে পারিনি, তবে অদূর ভবিষ্যতে তা করতে পারব—এ বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।’

কেন প্রথমে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল—এ প্রশ্নে কর্মকর্তারা বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান। নেরনহা বলেন, ‘তাকে তদন্তের স্বার্থে আটক করার মতো পর্যাপ্ত তথ্য তখন ছিল। পরে তদন্তকারীরা সিদ্ধান্তে পৌঁছন, তাকে আর “তদন্তের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি” হিসেবে বিবেচনার কোনো ভিত্তি নেই—এ কারণেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।’

কর্তৃপক্ষ জানায়, নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়া এক অজ্ঞাত ব্যক্তিকেই তারা এখনো খুঁজছে।

এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল রবিবার এক্সে এক পোস্টে জানান, ওই ‘তদন্তের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’কে রোড আইল্যান্ডের কভেন্ট্রি শহরের একটি হোটেল কক্ষ থেকে আটক করা হয়েছিল, যা ব্রাউন ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ৩০ মিনিটের পথ। তিনি বলেন, মোবাইল ডেটা বিশ্লেষণে বিশেষজ্ঞ এফবিআই দলের ভৌগোলিক অবস্থানসংক্রান্ত তথ্য ব্যবহার করে তাকে শনাক্ত করা হয়।

হত্যাকারী এখনো পলাতক বলে ধারণা করা হলেও রবিবার রাতে কর্তৃপক্ষ জানায়—ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকার জন্য আগে জারি করা ‘শেল্টার-ইন-প্লেস’ নির্দেশনা পুনরায় আরোপ করা হবে না।

গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪০০টি গণগুলিবর্ষণের সর্বশেষ ঘটনাগুলোর একটি এই হামলা—যা দেশটির প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি ব্রাউন ইউনিভার্সিটির কমিউনিটিকে নাড়িয়ে দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি বছরের বাকি সময়ের জন্য পরীক্ষা ও ক্লাস বাতিল করেছে। রবিবার হালকা তুষারপাতের মধ্যে ক্যাম্পাস ছিল প্রায় নীরব।
মেয়র স্মাইলি জানান, রবিবার দুপুর পর্যন্ত নিহত ও আহতদের সব পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, কারণ কেউ কেউ ভ্রমণে ছিলেন। তিনি ওই দিন সন্ধ্যায় কমিউনিটির পূর্বনির্ধারিত একটি আয়োজনে—ক্রিসমাস ট্রি ও হনুকার প্রথম রাত উপলক্ষে মেনোরাহ জ্বালানোর অনুষ্ঠানে—নাগরিকদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আজ রাতে আমরা যদি একটি কমিউনিটি হিসেবে একত্র হতে পারি এবং সামান্য আলো ছড়াতে পারি, তাহলে এর চেয়ে ভালো কিছু করার নেই।’

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: