ফাইল ছবি
১৯ দেশের অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়া অস্থায়ীভাবে স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বন্ধ করা হয়েছে গ্রিন কার্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব প্রক্রিয়াকরণের আবেদনও। বুধবার এক নিউজ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশটির জাতীয় ও জননিরাপত্তার উদ্বেগ থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। বুধবার প্রকাশিত এক স্মারকে বিষয়টি জানানো হয়।
যেসব দেশ আগে আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল, তাদের ওপর আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে আফগানিস্তান, সোমালিয়া, ইয়েমেন, সুদান, ইরান, লিবিয়া, হাইতি, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া—সহ মোট ১৯টি দেশ।
অন্যদিকে, আংশিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা আরও কিছু দেশ—যেমন কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, তোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলাকেও এই নতুন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হয়েছে।
এক সপ্তাহ আগে ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় এক আফগান নাগরিককে গ্রেফতার করার পর দেশটিকে নতুন করে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা হয়। হামলায় একজন ন্যাশনাল গার্ড সদস্য নিহত হন এবং আরেকজন গুরুতর আহত হন।
এরইমধ্যে সোমালিদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ভাষ্যও বিতর্ক তৈরি করেছে। তিনি সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে সোমালিদের 'গারবেজ' আখ্যা দিয়ে বলেন, 'আমরা তাদের আমাদের দেশে চাই না'।
মিনেসোটার মিনিয়াপলিসে প্রায় ৮০ হাজার সোমালি বসবাস করেন। শহরের মেয়র জেকব ফ্রে জানিয়েছেন, সোমালিরা স্থানীয় অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, এবং তাদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
এদিকে, আমেরিকান ইমিগ্রেশন লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, নতুন নীতির কারণে ওথ সেরিমনি, সিটিজেনশিপ সাক্ষাৎকার ও স্ট্যাটাস অ্যাডজাস্টমেন্ট ইন্টারভিউ—সব বাতিল হওয়ার রিপোর্ট পেয়েছে তারা।
ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থী ঠেকানো থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ অভিযান—সব জায়গায় কঠোরতা বাড়ানো হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: