ওয়াশিংটন হামলা তদন্তে নতুন তথ্য: দেশে ঢোকার আগে উগ্রপন্থার কোনো প্রমাণ নেই

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৯

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত আফগান অভিবাসী রহমানউল্লাহ লাকানওয়াল যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগে পর্যন্ত উগ্রপন্থী ছিলেন না, বলেছেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম।

রবিবার এনবিসির “মিট দ্য প্রেস” এবং এবিসির “দিস উইক” অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নোয়েম জানান, লাকানওয়াল যুক্তরাষ্ট্রে আসার পরই উগ্রপন্থায় জড়িয়ে পড়েন, এবং সে সময় তিনি ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে বসবাস করছিলেন। এ বিষয়ে আরও তথ্য জানার জন্য তদন্তকারীরা তার পরিবার ও পরিচিতজনদের সাথে কথা বলছেন।

গত বুধবার হোয়াইট হাউস থেকে কয়েক ব্লক দূরে ঘটে যাওয়া গুলিবর্ষণের ঘটনায় ২৯ বছর বয়সী লাকানওয়ালকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনায় ন্যাশনাল গার্ডের একজন সদস্য নিহত এবং আরেকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দাবি করে, বাইডেন প্রশাসনের আমলে অভিবাসীদের যথাযথভাবে যাচাই করা হয়নি—যদিও সরকারি নথি অনুযায়ী লাকানওয়ালকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে, গত এপ্রিল মাসে।

লাকানওয়াল ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। আফগানিস্তানে দুই দশকের যুদ্ধের অবসানকালে তালেবান ক্ষমতা দখল করলে, যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে সহায়তাকারী আফগানদের সরিয়ে আনার যে বড় কর্মসূচি নেওয়া হয়, তার অংশ হিসেবেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। নথিপত্র অনুযায়ী, তিনি আফগানিস্তানে সিআইএ-সমর্থিত বিশেষ ইউনিটের সদস্য ছিলেন।

নোয়েম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর লাকানওয়ালের নিজের সম্প্রদায় ও স্থানীয় কিছু যোগাযোগের মাধ্যমেই তার উগ্রপন্থার প্রতি ঝোঁক তৈরি হয়।
তিনি আরও বলেন, “আমরা এখনো তার পরিবার ও যাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল, তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছি।”

নোয়েম জানান, যুক্তরাষ্ট্র এমন কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছে যারা লাকানওয়ালকে চিনতেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই হামলার সঙ্গে জড়িত যে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

“যাদের কাছে এ বিষয়ে তথ্য আছে, তাদের বলছি—আমরা তোমাদের খুঁজে বের করব এবং আইনের আওতায় আনব,” বলেন নোয়েম।

বুধবারের হামলার পর ট্রাম্প প্রশাসন কিছু বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়া কঠোরভাবে সীমিত করে, যার মধ্যে সব ধরনের আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করাও রয়েছে।

নোয়েম বলেন, প্রয়োজন হলে চলমান আশ্রয় মামলার আবেদনকারীদের দেশত্যাগের কথাও বিবেচনা করা হতে পারে।
তিনি যোগ করেন, “আমরা প্রত্যেকটি ব্যক্তির মামলা খতিয়ে দেখব, যাদের আশ্রয় দাবির বিচার এখনো শেষ হয়নি।”



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: