কয়েক মাস ধরে সমালোচনা; অতঃপর মুখোমুখি ট্রাম্প-মামদানি

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৪০

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি। গত কয়েক মাসজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র তথা সারাবিশ্বেই আলোচিত দুই নাম। একে অপরের ঠিক উলটোটা। কথার চাবুকে কেউ কাউকে ছাড় দেননি একচুলও।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির এই দুই ‘দা-কুমড়ো’র শুক্রবার প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ হলো। ‘শত্রু’ হলেও এদিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমন্ত্রণেই হোয়াইট হাউজে ছুটে যান মামদানি। ধারণ করা হচ্ছিল, সেবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মতোই ওভাল অফিসে আরেকটি উগ্র দৃশ্য দেখবে বিশ্ব। কিন্তু ঘটল ঠিক বিপরীত! বাক্যবিষ ফেলে, মুখিয়ে থাকা গণমাধ্যমকে বিস্মিত করে রীতিমতো পিতৃসুলভ আচরণ করেন ট্রাম্প। গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে দুজনের।

শনিবার সকালে ট্রাম্প বলেন, ওভাল অফিসে মামদানির সঙ্গে তার দারুণ এক বৈঠক হয়েছে। বৈঠকটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল। আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা দারুণ একটি বৈঠক করলাম। এটি সত্যিই ভালো ও ফলপ্রসূ ছিল। একটা বিষয়ে আমরা মিল খুঁজে পেয়েছি। সেটা হলো আমরা দুজনেই আমাদের এই প্রিয় শহরকে আরও ভালো রাখতে চাই। আমি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আপনারা একজন দারুণ মেয়র পেতে যাচ্ছেন। তিনি যত ভালো কাজ করবেন, আমি তত খুশি হব। এখানে দলীয় কোনো বিভেদ নেই। আমি মনে করি, তিনি কিছু রক্ষণশীল মানুষকে যেমন চমকে দেবেন, তেমনি কিছু অত্যন্ত উদারপন্থি মানুষকেও।’ বৈঠকে বড় চমকটি উঠে আসে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে। নির্বাচনি প্রচারে বিভিন্ন সময় ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিবাদী’ বলেছেন মামদানি। এর সূত্র ধরেই এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, তিনি এখনো ট্রাম্পকে ফ্যাসিবাদী মনে করেন কি না।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: