মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মদিনার পবিত্র মসজিদে নববীতে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মসজিদুল হারামে ইমাম ছিলেন শায়খ ড. ইয়াসির আল-দাওসারি এবং মসজিদে নববীতে ইমাম ছিলেন শায়খ ড. হুসাইন বিন আবদুল আজিজ আলে শেখ। নামাজের পর খুতবায় তারা ঈদের তাৎপর্য, কোরবানির বিধান ও হজের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বাইতুল্লায় আগত হাজিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শায়খ ড. ইয়াসির আল-দাওসারি বলেছেন, আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে হাজিরা গতকাল আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেছেন এবং মুজাদালিফায় রাত্রি যাপন করেছেন।
এরপর মিনায় গিয়ে পাথর নিক্ষেপ করেছেন। আজ পবিত্র ঈদের দিনে তারা অনেক কাজ সম্পন্ন করবেন। তিনটি জামরায় পাথর নিক্ষেপ করবেন, কোরবানি করবেন, মুথার চুল কাটবেন, কাবাঘর তাওয়াফ করবন এবং সাফা ও মারওয়া পাহাড় সায়ি করবেন। আল্লাহ হাজিদের এসব আমল কবুল করুন।
হজের শিক্ষা প্রসঙ্গে শায়খ ইয়াসির বলেছেন, হজ একজন মুসলিমকে ইসলামের সব স্তম্ভের সঙ্গে নতুনভাবে পরিচিত করে তুলে। এর মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাতের সার্বিক কল্যাণ রয়েছে। বিদায় হজের ভাষণে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহকে তোমাদের রব হিসেবে ভয় কোরো। তোমাদের মাসে রোজা রাখো।
তোমাদের সম্পদের জাকাত আদায় কোরো। তোমাদের মধ্যে দায়িত্বশীলদের আনুগত্য কোরো। তাহলে তোমাদের রবের জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।’
তিনি আরো বলেন, পবিত্র হজ মুসলিমদের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠা করে এবং সবাইকে এক কাতারে এনে দেয়। মানুষের মুখের ভাষা, গায়ের রঙ, স্থানগত পার্থক্যের পরও সবাই একসঙ্গে এক স্থানে সমবেত হয়।
এর মাধ্যমে ইসলামের বৈশ্বিক প্রভাব ও এক আল্লাহর দাসত্বের চিত্র ফুটে উঠে।
এর আগে গতকাল আরাফাতের ময়দানে মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দিয়েছেন সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ ইউসুফ বিন মুহাম্মদ। খুতবায় তিনি সমবেত মুসলিমদের তাকওয়া তথা আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাতের সাফল্য অর্জনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: