ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এবং ইউরোপ-আফ্রিকা ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে আজ ২৮ জুন, বুধবার উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশসহ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডায়ও উৎসব আমেজে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা।
মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এ দিন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে সৃষ্টিকর্তার নামে পশু কোরবানি দেন।
ত্যাগের উৎওসব হিসেবে পরিচিত ঈদুল আজহার নির্দিষ্ট ধর্মীয় রীতি থাকলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আঞ্চলিক সাংস্কৃতিকে একত্রিত করে উৎসবটি পালন করেন মুসলিমরা।
বর্ণিল রঙের কাপড় পরে মেহেদি রাঙা হাতে ঝাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে দস্যি ছেলে-মেয়েরা। নামাজ শেষে ঘরে ফিরেন মুসল্লিরা। পথে-প্রান্তরে বণ্টন করা হয় কোরবানির মাংস। বাড়িঘর থেকে ভেসে আসে খাবারের সুঘ্রাণ।
এসব হলো বিভিন্ন দেশে পবিত্র ঈদুল আজহার সাধারণ কিছু দৃশ্য। উদয়স্থলভেদে এক দিন আগে-পরে তা উদযাপন করবে বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা। ঠিক একই সময় পবিত্র হজ পালন শেষে লাখ লাখ মানুষ সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থান করছে।
মূলত কোরবানির ঈদ হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে ইবরাহিম (আ.) কর্তৃক নিজ পুত্র ইসমাঈল (আ.)-কে উৎসর্গ করার প্রতিজ্ঞার স্মারক। তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে কোরবানির জন্য বিকল্প পশু হিসেবে একটি দুম্বা পাঠানো হয়। অবশ্য খ্রিস্টান ও ইহুদিদের বিশ্বাসমতে, তখন ইবরাহিম (আ.)-এর আরেক সন্তান ইসহাক (আ.)-কে কোরবানি করতে বলা হয়।
কোরবানির দিন ছাগল, গরু, ভেড়া, উটসহ বিভিন্ন গবাদি পশু জবাই করে উদযাপন করা হয়। এরপর এর মাংস পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও দরিদ্রদের মধ্যে বণ্টন করা হয়। দিবসটির মূল লক্ষ্য অভিন্ন হলেও এ দিনকে ঘিরে রয়েছে নানা দেশের নানা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য।
সূত্র : আল-জাজিরা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: