আজ থেকে শুরু পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৫ জুন ২০২৩ ১৮:২৩

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রার মধ্য দিয়ে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে আজ।  আজ ২৫ জুন, রোববার ফজরের পর ১৪৪৪ হিজরি বর্ষের হজের মূল কার্যক্রম শুরু হয়।

২৭ জুন আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহর দুয়ারে নিজেদের উপস্থিতির জানান দেবেন মুসল্লিরা। সেদিন ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে ময়দান। আর শয়তানকে উদ্দেশে পাথর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে ১২ জিলহজ শেষ হবে হজ।

করোনা মহামারির পর এবার সর্বাধিক মুসল্লি পবিত্র হজ পালন করবেন। ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হজ পালনের জন্য ইতোমধ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে হজযাত্রীরা সৌদি আরব পৌঁছেছেন। 

মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। হজ পালনকারীদের জন্য ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের পূর্বে মিনায় পৌঁছা সুন্নত। মিনা প্রান্তরে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও রাত্রী যাপন সুন্নত আমল। মিনাতে হাজিদের রাত কাটানোর জন্য আলাদা আলাদা তাঁবু রয়েছে। মিনাকে তাঁবুর শহর বলা হয়। এবার প্রায় এক লাখ অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। সবই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। মিনায় হজ পালনকারীরা ৮ জিলহজ রাত থেকে আরাফাতের ময়দানে চলে যাবেন ৯ জিলহজ।

সৌদি আরবের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এ বছর বিশ্বের ১৬০ দেশের ২০ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালন করবেন। এর সঙ্গে সৌদি আরবের আরও চার লাখের বেশি মুসল্লি অংশ নেবেন হজে। নিকট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গরমও সহ্য করতে হবে এবার হজযাত্রীদের। এই কদিন মিনা ও এর আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা প্রায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে বলে আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়েছে।

হাজিদের নির্বিঘ্নে হজ পালনের জন্য সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জননিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আল বাসামী শনিবার জানিয়েছেন, দুই লাখ ৩৮ হাজার নিরাপত্তাকর্মী হাজিদের সেবায় প্রস্তুত রয়েছেন।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ডা. তৌফিক আল রাবিয়া বলেন, এ বছর ৩২ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী হজযাত্রীদের সেবা দেবেন। গরমসহ নানাবিধ কারণে কোনো হজযাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসা কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছে। মক্কা, মিনা, আরাফাত ময়দান ও মুজদালিফায় বহু অ্যাম্বুলেন্স, অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্র ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব এলাকার পথে পথে হাজিদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তার জন্য বিভিন্ন ভাষার কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

 

সূত্র : আল-আরাবিয়া ও অন্যান্য 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: