সিরিয়া থেকে ইউক্রেন পর্যন্ত যেসব ব্যক্তিরা নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে এসেছে তাদেরকে কোন ধরনের বৈষম্য ছাড়াই আশ্রয় প্রদান করেছে তুরস্ক বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান।
মঙ্গলবার (২০ জুন) বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন এরদোগান।
তিনি বলেন, ‘তুরস্ক সবসময় শরণার্থীদের জন্য নিরাপত্তা, প্রতিবেশী সুলভ আচরণ ও মানবিকতা প্রদর্শন করেছে। এছাড়াও তাঁদেরকে স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেছে।’
প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আজ প্রায় ১১০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। তাদের মধ্যে ৩৫.৩ মিলিয়ন উদ্বাস্তু জনগণ জন্মভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এছাড়াও নিজেদের দেশেই বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৬২.২ মিলিয়ন মানুষ।’
তিনি বলেন, শরনার্থীদেরকে লক্ষ্য করে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে সর্বপ্রথম ঘৃণামূলক বক্তৃতা, নব্য-নাৎসিবাদ ও ইসলামফোবিয়া শুরু হয়। যা পরবর্তীতে অন্যন্য সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। তবে তুরস্ক এসব ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ-পশ্চিম গ্রিসের কাছাকাছি একটি অভিবাসী নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা উল্লেখ করে এরদোগান বলেন: ‘ইতিহাস জুড়ে সভ্যতার প্রাণকেন্দ্রে থাকা ভূমধ্যসাগর আজ এক বিশাল শরণার্থী কবরস্থানে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যেসব দেশগুলো মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের বিষয়ে অন্য দেশগুলোকে ছবক শেখায় তাদের এসব শরণার্থীদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: