-2025-03-29-00-31-55.jpeg)
তুরস্কের চলমান অস্থিরতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। একই সঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে রুবিও বলেছেন, তুরস্কের অস্থিরতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। বিক্ষোভ দমনে এরদোগানের কঠোর অবস্থানের মধ্যেই আঙ্কারার বিষয়ে মন্তব্য করলো যুক্তরাষ্ট্র। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
রুবিও বলেছেন, আমরা নজর রাখছি। আমরা বিক্ষোভ দমনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। সুরিনাম থেকে মিয়ামি যাওয়ার পথে রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এমন কোনো দেশের শাসন ব্যবস্থায় অস্থিরতা দেখতে চাই না যারা ঘনিষ্ঠ মিত্র।
রুবিও বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এরদোগানের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। আশা করি তারা এটি পুনরায় চালু করতে চাইবে। তিনি বলেন, তারা ন্যাটোর মিত্র। আমরা সিরিয়া এবং অন্যান্য স্থানে তাদের কাজে সহযোগিতা করতে চাই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইস্তাম্বুলের মেয়রের গ্রেপ্তারের পর শুরু হওয়া বিক্ষোভ কীভাবে পরিচালনা করা হয়েছে তা নিয়ে রুবিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যদিও তুরস্ক এই ঘটনাটিকে গুরুত্বের সাথে নেয়নি।
রুবিও সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন, ফিদানের সাথে তার সাক্ষাতে তিনি এই বিষয়ে উদ্বেগের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এরদোগানের শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের বিষয়ে তুর্কি সরকারের পক্ষ থেকে বক্তব্য শুনেছেন।
তবে বিরোধীদের এই দাবি সম্পর্কেও তিনি অবগত আছেন এবং বলেছেন, এই পদক্ষেপ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিবিসির এক সংবাদদাতাকে বহিষ্কার এবং এক এএফপি রিপোর্টারের গ্রেপ্তারসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ওপর দমন-পীড়ন সম্পর্কে প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি রুবিও। তার কাছে বিস্তারিত তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: