গাজা নিয়ে ট্রাম্প-ইসরায়েল তৎপরতায় 'জরুরি আরব সম্মেলন' বৃহস্পতিবার

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:২২

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা দখল ও ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করার এক ভয়াবহ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা দেন। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। বিশেষ করে আরব ও মুসলিম প্রধান দেশগুলো তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তীব্র প্রতিবাদ জানায়।এমনকি সঙ্গে সঙ্গেই আরব সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দেয় মিশর।

পাশাপাশি গাজা সংকট নিয়ে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করারও সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান ও সৌদি আরব।

তারই ধারাবাহিকতায় আগামী বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চারটি আরব দেশের নেতাদের নিয়ে একটি জরুরি সম্মেলনের আয়োজন করবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। যেখানে ট্রাম্পের গাজা দখলের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে। খবর এএফপির।

এ সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে অবগত একটি সূত্র শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, এই সম্মেলনে মিশর, জর্ডান, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়াও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও এতে অংশ নেবেন বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রটি।

ট্রাম্পের বিতর্কিত প্রস্তাব ও আরব বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্প সম্প্রতি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরের সময় ওই বিতর্কিত প্রস্তাব দেন। সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গাজা দখলের বিষয়ে পরিকল্পনা জানান এবং ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করে মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরিত করার কথা বলেন।

ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও নিন্দার মুখে পড়ে, বিশেষ করে আরব বিশ্বে।

আরব দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

সাধারণত বিভিন্ন ইস্যুতে বিভক্ত থাকা আরব দেশগুলো এবার অন্তত এই ইস্যুতে এক ও অভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেছে। কারণ তারা মনে করছে যে, ফিলিস্তিনিদের গণহারে বাস্তুচ্যুত করা হবে আত্মঘাতী, এটা মেনে নেওয়া যায় না।

কেননা, হামাস নির্মূলে গত ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরাইল গাজা ভূখণ্ডে নজিরবিহীন আগ্রাসন চালিয়ে গেছে। এতে ৪৮ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়াও গাজার বিশাল অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশ বারবার দুই রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যেখানে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ইসরাইলের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করবে।

আরব দেশগুলোর এই সম্মেলন ও আলোচনার ফল কী হবে এবং এটি ফিলিস্তিনি সংকটের ভবিষ্যৎ রাজনীতিকে কীভাবে প্রভাবিত করবে- সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: