
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে দ্বিতীয়বারের মতো খোলা চিছি লিখেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেনাবাহিনী এবং জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিভাজন নিরসনের লক্ষ্যে সেনাপ্রধানকে এই চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ পার্টির ওই নেতার লেখা চিঠিটি তার অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে তিনি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গণমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, সেনাপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে দেয়া চিঠিতে ইমরান লিখেছেন, দেশের পরিস্থিতি উন্নয়নের উদ্দেশে আমি আপনাকে প্রথম চিঠিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। কিন্তু ওই চিঠির প্রতিক্রিয়ায় চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনের পরিচয় দেয়া হয়েছে।
নিজের জীবন দেশের সেবায় ব্যয় করেছেন বলে সেনাপ্রধানকে দেয়া চিঠিতে উল্লেখ করেন পাকিস্তানের বৃহৎ এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের নেতা ইমরান খান।
তিনি লিখেছেন, আমি আমার জীবনের ৫৫ বছর জনসেবায় উৎসর্গ করেছি এবং আমার সকল অস্তিত্ব পাকিস্তানকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে।
শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নিয়েই উদ্বিগ্ন নন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন ইমরান। তিনি বলেন, আমি শুধু সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নিয়েই উদ্বিগ্ন নই। এর চেয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে জনগণের ক্রমবর্ধমান ব্যবধান আমাকে উদ্বিগ্ন করে। কেননা এর পরিণতি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। খান দাবি করেছেন, তার দেয়া ছয় দফা দাবি উত্থাপন করা হলে ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ তার দলকে সমর্থন দেবে।
আদিয়ালা কারাগারের সুপারিনটেনডেন্ট আকরামের অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগর বিষয়টি উল্লেখ করে কারাবন্দি ইমরান বলেন, আমাকে প্রচণ্ড চাপে রাখা হয় এবং আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে টানা ২০ দিন একটি মৃত্যু ফাঁদে আটক রাখা, যেখান কোনো দিনও সূর্যের আলো পৌঁছায় না।
ইমরান খান আরও অভিযোগ করেছেন যে, তাকে জেলের কক্ষটিতে রাখা হয়েছে সেখানে টানা পাঁচ দিন কোনো বিদ্যুৎ ছিল না। এছাড়া ব্যায়ামের সরঞ্জাম, টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন ইমরান। তিনি বলেছেন, তাকে বই পড়তেও বাধা দিয়েছে কারারক্ষীরা।
সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না দেয়ার বিষয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইমরান খান। তিনি লিখেছেন, গত ছয় মাসে মাত্র তিনবার তাকে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়েছে। আদালতের আদেশ থাকা সত্ত্বেও সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে না দেয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক ওই ক্রিটার।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: