দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফর

সৌদি আরবে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:১১

ছবি: সংগৃহীত ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার নতুন শাসক আহমেদ আল-শারা তার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। তিনি সউদী আরব সফর করবেন এবং দেশটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন। এই সফরে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার এই সফর রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হবে এবং তিনি সউদী আরবে দুই দিন অবস্থান করবেন।

আল-শারা, যিনি আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি নামে পরিচিত ছিলেন, সম্প্রতি সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার সফরের মূল লক্ষ্য হবে নতুন শাসনব্যবস্থার প্রতি সউদী আরবের সমর্থন নিশ্চিত করা এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগ ও কূটনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করা।

গত বছর ডিসেম্বরে বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর ব্যাপক হামলার মাধ্যমে সিরিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর আহমেদ আল-শরাকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি সিরিয়ার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সংসদ গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন, যা একটি নতুন সংবিধান কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত কাজ করবে। তার নিয়োগের পর সউদী বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তাকে অভিনন্দন জানিয়ে সফলতার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এর আগে সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান দামেস্ক সফর করেন এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তার মতে, এই বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা চলছে। এর আগে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি রিয়াদ সফর করেছিলেন, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

সিরিয়া ও সউদী আরবের মধ্যকার এই কূটনৈতিক তৎপরতা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার পুনর্গঠনে সউদী আরবের সম্ভাব্য বিনিয়োগ ও কৌশলগত সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সফরের ফলাফল ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্কের গতিপথ নির্ধারণে সহায়ক হবে।

সিরিয়ার নতুন শাসক আহমেদ আল-শারা তার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। তিনি সউদী আরব সফর করবেন এবং দেশটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন। এই সফরে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: