পূণরায় যুদ্ধ শুরুর বিষয়ে সতর্ক থাকবে ট্রাম্প প্রশাসন

গাজাবাসী যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন অতিবাহিত করলো

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২০ জানুয়ারী ২০২৫ ০৩:৩০

ঘর নেই তবুও গাজাবাসীর ঘরে ফেরা, ছবি সংগৃহীত ঘর নেই তবুও গাজাবাসীর ঘরে ফেরা, ছবি সংগৃহীত

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সারাদিন গাজাবাসী খুশি উদযাপন করেছে, ইসরায়েলি হোস্টেজদের পরিবারও খুশি উদযাপন করেছে, কিন্তু নেতানিয়াহু সরকার আর তার ইসরায়েলি চরমপন্থি মিত্ররা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ অবস্থায় দিন পার করেছে।

হামাস যোদ্ধাদের গাড়িবহর সর্বসম্মুখে ছবি তুলছে । তাদেরকেও খুশি দেখা যাচ্ছে। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, '১৫ মাসের যুদ্ধে আইডিএফ হামাসের যত যোদ্ধা মেরেছে, তার চেয়ে বেশি যোদ্ধা হামাস এর মধ্যে রিক্রুট করে ফেলেছে। এটা খুবই হতাশার কথা।'

রবিবার প্রথম দফায় মুক্তিপ্রাপ্ত তিনজন ইসরায়েলি হোস্টেজ সাথে রেড ক্রস গাজায় সাক্ষাৎ করে বলেছে তার ভালো আছে। এই তিনজন নারী হোস্টেজ হলো রোমি গোনেন (২৪ বছর বয়সী), এমিলি দারামি (২৮) এবং ডোরন স্টেইনব্রেচার (৩১)। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিজন সিভিলিয়ান ইসরায়েলি হোস্টেজের বিনিময়ে ৩০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবে, আর একজন ইসরায়েলি সেনা হোস্টেজের মুক্তির বিনিময়ে ৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাবে।

এই ১৫ মাস বাইডেন প্রশাসনের কোনও অফিসিয়াল প্রতিনিধি গাজায় প্রবেশ না করলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী উইটকফ গাজা পরিদর্শনে যাবেন বলে মত প্রকাশ করেছেন। গাজা যুদ্ধবিরতি যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য উইটকফ বলেছেন, 'আমাকে অবশ্যই এর ঘটনাবলীর সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে, যদি কোনও সমস্যা হয় তবে তা সমাধানের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।' বিশ্লেষকগণ তার এই বক্তব্যকে ট্রাম্প প্রশাসনের দৃঢ়তার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন।

উইটকফ আরও বলেন, 'কার্যত আমাকে সব নিজ চোখে দেখতে হবে, অনুভব করতে হবে। মনে রাখবেন, কেবল হামাসে নয়, ইসরায়েলেও প্রচুর মানুষ, মৌলবাদী, ধর্মান্ধ মানুষ আছে যারা এই পুরো চুক্তিটি নষ্ট করার জন্য পুরোপুরি ওৎ পেতে আছে।'

তিনি বলেন,'আমরা যদি গাজার বাসিন্দাদের সাহায্য না করি, যদি আমরা তাদের জীবনকে আরও উন্নত না করি, যদি আমরা তাদের আশার অনুভূতি না দেই, তাহলে ফের বিদ্রোহ হবে।'

দিনের শেষভাগে রামালার অফার কারাগার থেকে চুক্তি মোতাবেক ৯০ জন ফিলিস্তিনি নারী আর বাচ্চা বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। অর্থাৎ, ৩ ইসরায়েলির বদলে ৯০ ফিলিস্তিনির মুক্তির যে দাবি প্রথম থেকেই হামাস করে আসছে, ১৫ মাস পরে ইসরায়েল সে দাবি মেনে নিয়েই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: