জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বিশ্বের সব দেশেই এর বিরূপ প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার মরু আবহাওয়ার দেশ সৌদি আরবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করার আশঙ্কা জেগেছে। সর্বশেষ ১৯৯২ সালের শীতকালে এরকমটা দেখা গিয়েছিলো। সে বছর জানুয়ারি মাসে দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হাইলে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিলো শূন্য ডিগ্রির নিচে। মাইনাস ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তখন তাপমাত্রার পারদ গিয়ে ঠেকে। ওই সপ্তাহের পুরো সময় তাপমাত্রা মাইনাস ৪ দশমিক ৪ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করেছিলো।
গত ডিসেম্বরের ২০ তারিখের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির আবহাওয়ার যে পরিস্থিতি, তাতে ৩৩ বছর আগের সেই রেকর্ড ভেঙে যাওয়ার পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ৩ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বিবৃতিতে সৌদির আবহাওয়া দপ্তর ন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটেরোলজি (এনসিএম) জানিয়েছে, সামনের দিনগুলোতে দেশটির তাবুক, আল জৌফসহ পুরো উত্তরাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে তুষারপাত ঘটবে।
এর বাইরে রাজধানী রিয়াদ, মক্কা, মদিনাসহ দেশটির অধিকাংশ এলাকায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি ভারী এবং মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত হবে। আসির, জাজান, আল বাহা, মক্কা, রিয়াদ, পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ভারী ও মাঝারি বর্ষণের পাশাপাশি ঘন কুয়াশা ও তুষারপাত ঘটতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এনসিএমের এক্স বার্তায়।
এনসিএমের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আকিল আল আকিল আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা ধারণা করছি, আরও অন্তত এক সপ্তাহ আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি থাকবে। যদি এই অবস্থা দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে সম্ভবত ২০২৫ সালে সম্ভবত সর্বনিম্ন তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড দেখতে পাব আমরা।”
তিনি আরও জানান, বিশেষ করে হাল এবং আল কুরায়াতে বরাবরই বেশি ঠান্ডা পড়ে। যদি সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড হয়, তাহলে এ দু’টি স্থানের কোনো একটিতে বা দু’টিতেই এমন ঘটার সম্ভাবনা বেশি হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: