ফতেহপুর শহরে অবস্থিত মসজিদটির নাম নূরী জামে মসজিদ। এর একাংশ ভেঙে ফেলার বিষয়ে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মসজিদের একাংশ সড়কের ওপর পড়ায় বিষয়টি নিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের পরও সেই অংশ ভাঙা হয়নি। তাই নির্ধারিত সময়ের পর গণপূর্ত বিভাগ থেকে মসজিদটির ওই অংশ ভেঙে ফেলা হয়।
বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়ার পর সুরাহার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে মসজিদ কমিটি। এ নিয়ে তারা এলাহাবাদ হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছে। এ বিষয়ে আদালতের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশ আসার আগেই মসজিদটির একাংশ ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটল।
এ বিষয়ে ফতেহপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) অবিনাশ ত্রিপাঠী বলেন, ‘মসজিদ কমিটি হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছে। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য হয়নি। আজ মসজিদের যে অংশ ভাঙা হয়েছে, সেটি এর বর্ধিত অংশ। মসজিদের মূল ভবন অক্ষত রয়েছে।’
জেলা প্রশাসনের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও জানান, মসজিদের একটি অংশ ভেঙে ফেলার জন্য গত আগস্টে মসজিদ কমিটি, সেখানকার দোকানদার, বাড়ির মালিকসহ ১৩৯ জনকে নোটিশ দিয়েছিলগণপূর্ত বিভাগ। কিন্তু এরপরও সেই অংশ ভাঙা না হওয়ায় মঙ্গলবার তা ভেঙে দেওয়া হয়।
অবিনাশ ত্রিপাঠী বলেন, ‘সড়কের ওপরে থাকা সব ভবন চিহ্নিত করে নোটিশ দিয়েছিল গণপূর্ত বিভাগ। অন্যরা সেপ্টেম্বরেই চিহ্নিত অংশ ভেঙে ফেলে। মসজিদ কমিটিও সড়কের ওপর থাকা দোকানের অংশবিশেষ ভেঙেছে। তবে গণপূর্ত বিভাগকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা মসজিদের অংশবিশেষ ভাঙেনি।’
মসজিদ ভাঙার বিষয়টি নিয়ে জানতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে মসজিদ কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: