ইসরাইল ও লেবাননভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ ১৩ মাস ধরে চলা সংঘাতের পর অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। অস্ত্রবিরতি চুক্তিটি ইসরাইলের মন্ত্রিসভা মঙ্গলবার অনুমোদন করে। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে তা কার্যকর হয়।
চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তি সাধারণ জনগণের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। একইসাথে তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিরও আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, উভয়পক্ষকেই শান্তির লক্ষ্যে চুক্তি মনে চলতে হবে। কোনোভাবেই যাতে চুক্তি লঙ্ঘন না হয় সেদিকে উভয়কে দৃষ্টি রাখতে হবে।
ইসরাইল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘যদি হিজবুল্লাহ চুক্তি লঙ্ঘন করে তাহলে আমরাও আবার আঘাত হানতে বাধ্য হবো।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রধান উরসুলা ভনদার লিয়েন চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘খুবই উৎসাহব্যঞ্জক খবর।’
তিনি বলেছেন, চুক্তির ফলে লেবাননের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘খুবই সুখবর। শুধু তাই নয় এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।’
এদিকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, অস্ত্রবিরতি চুক্তি এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি মৌলিক পদক্ষেপ।
অস্ত্রবিরতির শর্ত অনুযায়ী, জাতিসঙ্ঘ প্রস্তাব ১৭০১’-এ যেমনটি বলা হয়েছে সেই অনুযায়ী হিজবুল্লাহ তাদের সৈন্যদের লিতানি নদীর উত্তরে সরিয়ে নেবে। ইসরাইলি সৈন্যরা দক্ষিণ লেবানন থেকে ক্রমশই সরে আসবে।
সূত্র : বাসস, ভিওএ এবং অন্যান্য
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: