ফিলিস্তিনের ১ হাজার হজযাত্রীর হজের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবে সৌদি আরব সরকার। যাদের পরিবার থেকে অন্তত একজন সদস্য ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত, আহত কিংবা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে বন্দি আছেন, তালিকায় তারাই অগ্রাধিকার পাবেন। খবর এসপিএর।
১২ জুন, সোমবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, সৌদি আরবের রাষ্ট্রপ্রধান ও বাদশাহ সালমান বিন আব্দুলাজিজ আল সৌদ শনিবার এ ঘোষণা দিয়েছেন।
১১ জুন, রোববার সৌদি আরবের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. শেখ আব্দুললতিফ বিন আব্দুলাজিজ আল শেখ এসপিএকে বলেন, বাদশাহ সালমানের এই উদারতা একদিকে যেমন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী জনগণের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের গভীরতা আরও একবার প্রমাণ করল তেমনি পাশাপাশি স্বাধীনতার জন্য ফিলিস্তিনের জনগণের বিপুল ত্যাগকেও স্বীকৃতি দিল।
মন্ত্রী জানান, এই এক হাজার হজযাত্রীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ফিলিস্তিনিদের সৌদি আসার খরচ থেকে শুরু করে হজের যাবতীয় ব্যয় বহন করবে সৌদি সরকার। তালিকা প্রণয়নের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে এবং পশ্চিম তীর ও গাজা— উভয় ভূখণ্ড থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে এই তালিকায় স্থান দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ড. শেখ আব্দুললতিফ বিন আব্দুলাজিজ আল শেখ।
মোহাম্মদ আল জান্নাতি এই তালিকায় স্থান পাওয়া একজন ফিলিস্তিনি হজযাত্রী। আমিরাতভিত্তিক দৈনিক গালফ নিউজকে তিনি জানান, হজ করার জন্য গত ১৭ বছর ধরে চেষ্টা করছেন তিনি; কিন্তু অর্থসংকটের কারণে এতদিন যেতে পারেননি মক্কায়।
এই তালিকায় স্থান পাওয়া মোহাম্মদ আল জান্নাতি একজন ফিলিস্তিনি হজযাত্রী। আমিরাতভিত্তিক গালফ নিউজকে তিনি জানান, হজ করতে গত ১৭ বছর ধরে চেষ্টা করছেন তিনি, কিন্তু অর্থসংকটের কারণে মক্কায় যেতে পারেননি । আল্লাহকে ধন্যবাদ, যিনি ভাগ্যে এই দান বরাদ্দ করেছেন।
ইসলামের ৫টি মূলস্তম্ভের একটি হলো হজ। এই ধর্মের বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিম নর-নারীর জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ বা আবশ্যিক।
সূত্র : এসপিএ এবং অন্যান্য
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: