তাইওয়ানে ৫০০ বছরের পুরনো হাতে লেখা কুরআনের একটি কপির পুনরুদ্ধার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১০ জুন, শনিবার তাইওয়ানভিত্তিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান বুদ্ধিস্ট তজু চি চ্যারিটি ফাউন্ডেশন এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়। ন্যাশনাল তাইওয়ান লাইব্রেরি অনুসারে, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কুরআনের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
২০২০ সালে তুরস্কভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী মুসলিম ফয়সাল হু ৫০০ পৃষ্ঠার এই পাণ্ডুলিপি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেং ইয়েনকে উপহার দেন। বইটি তখন খুবই জীর্ণ ও ছেঁড়া ছিল।
ফোকাস তাইওয়ান সূত্রে জানা যায়, চেং ইয়েন পাণ্ডুলিপিতে এক ধরনের পোকা খুঁজে পান। সাধারণত তা খুবই পুরনো বইয়ের ভেতর থাকে। তখন তিনি কপিটি পুনরুদ্ধারে সহযোগিতার জন্য ন্যাশনাল তাইওয়ান লাইব্রেরিতে দিয়ে দেন। এ ক্ষেত্রে তাকে সহযোগিতা করে লাইব্রেরির তৎকালীন ডেপুটি ডিরেক্টর উ ইং মেই ও হু।
কুরআনের ৭৫ টি অধ্যায় ৪জন ভিন্ন ব্যক্তি নিজ হাতে লিখেছেন। এতে বিভিন্ন রকমের কালি ব্যবহার করা হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে কুরআনটি ১৫ বা ১৬ শতাব্দির কাছাকাছি সময়ের। ফোকাস তাইওয়ানের সূত্র মতে এই তথ্য পাওয়া যায়।
পবিত্র কুরআনের কপিটি পুনরুদ্ধারে ৩৫ মাস সময় লাগে। অবশ্য করোনা মহামারির কারণে মধ্যখানে প্রায় দেড় বছর পর্যন্ত এর কাজ স্থগিত ছিল। অতঃপর দীর্ঘ তিন বছর পর গত ৫ জুন হুয়ালিয়েন শহরে চেং ইয়েনের কাছে পুনরুদ্ধার করা কাজটি উপস্থাপন করেন লাইব্রেরির পরিচালক সাও সুই ইং ও লাইব্রেরির গ্রন্থ নিরীক্ষাকেন্দ্রের কর্মীরা
ন্যাশনাল তাইওয়ান লাইব্রেরির পরিচালক সাও সুই ইং বলেন, জাতীয় গ্রন্থাগারের তত্ত্বাবধানে পুনরুদ্ধার করা বইগুলোর মধ্যে এটি প্রাচীনতম গ্রন্থ।
ধর্মীয় গ্রন্থের সফল পুনরুদ্ধারের ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। এর মাধ্যমে তার গবেষণা দলের পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার স্বীকৃতিও প্রমাণিত হয়। সাও সুইং পাণ্ডুলিপির পুনরুদ্ধার কাজের জন্য কোনো আর্থিক বিনিময় গ্রহণ করেননি। বরং এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের পুনরুদ্ধার কাজ লাইব্রেরির গুরুত্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে জানান তিনি।
সূত্র : ফোকাস তাইওয়ান
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: